সিলেটটুডে ডেস্ক

১৮ নভেম্বর, ২০১৫ ১১:৩৯

রিভিউ খারিজ, ফাঁসিতেই ঝুলছেন সাকা-মুজাহিদ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী (সাকা) এবং  জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল যুদ্ধাপরাধী আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদের মৃত্যুদণ্ড রায়ের পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) আবেদন শুনানি শেষে তা আজ বুধবার (১৮ নভেম্বর)  খারিজ করে দিয়েছেন আপীল বিভাগ। বেলা সাড়ে ১১টায় একই সাথে আলোচিত এই দুটি  মামলার চূড়ান্ত রায় ঘোষণা হয়।

ফলে একাত্তর সালে মুক্তিযুদ্ধে মানবধাবিরোধী অপরাধের দায়ে দণ্ডিত এই দুই যুদ্ধাপরাধী ফাঁসির দড়িতেই ঝুলতে যাচ্ছেন।

এই দুই যুদ্ধাপরাধীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার ক্ষেত্রে আর কোন আইনি বাঁধা থাকল না। তবে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন জানাতে পারবেন তারা। 
 

প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চে মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) আদালতের কার্যারম্ভেই এই রিভিউ আবেদনের শুনানি  হয়। আর আসামী পক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে বুধবার (১৮ নভেম্বর) একই বেঞ্চে সকাল ৯টা থেকে শুনানি হয়ে সাড়ে দশটায় শেষ হয় সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর  রিভিউ আবেদনের শুনানি।

বেঞ্চের অপর বিচারপতিরা হলেন : বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।

চট্টগ্রাম অঞ্চলের নৃশংসতম মানবতাবিরোধী অপরাধের মূল হোতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী এবং আল বদর নেতা হিসেবে আলী আহসান মুজাহিদ একাত্তর সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় সক্রিয়ভাবে যুদ্ধপরাধে অংশ নেন।

ট্রাইব্যুনালে তার আগেই সালাউদ্দিন কাদের ও মুজাহিদের মৃত্যুদণ্ডের রায় হয়েছিল। তারা আপিল করলে চলতি বছরের ২৯ জুলাই সালাউদ্দিন কাদেরের এবং ১৬ জুন মুজাহিদের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে আপিল বিভাগ রায় দেয।

দুটি দিনে দুই শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসির রায় ঘোষণা হলেও পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয় গত ৩০ সেপ্টেম্বর। এরপর নিয়ম অনুযায়ী ট্রাইব্যুনাল দুজনের মৃত্যু পরোয়ানা জারি করে কারা কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠায়।

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে মুজাহিদকে এবং গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে থাকা সালাউদ্দিন কাদেরকে সেই মৃত্যু পরোয়ানা ১ অক্টোবর পড়ে শোনানো হয়।

দণ্ড কার্যকরের আগে দুই যুদ্ধাপরাধীর আইনি শেষ সুযোগ রিভিউ আবেদন করেন।

এর আগে যুদ্ধাপরাধী আব্দুল কাদের মোল্লা ও মো. কামারুজ্জামানের রিভিউ আবেদন একদিনের মধ্যে শুনানি শেষে খারিজ হয়ে গিয়েছিল। তারা রাষ্ট্রপতির ক্ষমা চাননি, পরে তাদের ফাঁসিতে ঝোলানো হয়।

নিয়ম অনুযায়ী, রিভিউ নিষ্পত্তির আগে দণ্ড কার্যকর করা যায় না । রিভিউ খারিজ হয়ে গেলে সেই রায়ের অনুলিপি কারাগারে যাবে এবং কারা কর্তৃপক্ষ সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আসামিদের ফাঁসি কার্যকর করবে।

দুটি মামলায়ই প্রধান আইনজীবী হিসেবে ছিলেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন। তাকে সহায়তা করতে যে আইনজীবী দল রয়েছেন, তাতে শিশির মনির ও আসাদ উদ্দিন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত