একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের বিজয়ের পর যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আটক ১৯৫ সেনা সদস্যের বিরুদ্ধে তদন্ত হবে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।

মুক্তিযুদ্ধের পর ত্রিদেশীয় চুক্তির আওতায় বিচারের মুখোমুখি করার শর্তে ফেরত নেয় পাকিস্তান। কিন্তু ৪৪ বছর পার হলেও তাদের বিচারের মুখোমুখি করা হয়নি। উল্টো পাকিস্তান এখন একাত্তরের গণহত্যার দায়ই অস্বীকার করছে।

গাইবান্ধা, হবিগঞ্জ এবং কিশোরগঞ্জের আট রাজাকারের বিরুদ্ধে তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ নিয়ে রোববার ধানমণ্ডিতে তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান সংস্থার প্রধান সমন্বয়ক আবদুল হান্নান খান।

আবদুল হান্নান খান বলেন, 'পাকিস্তানের ১৯৫ যুদ্ধাপরাধীর বিরুদ্ধে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে। সরকারের নির্দেশনা পেলে ও ক্ষেত্র প্রস্তুত হলে তাদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে তদন্ত শুরু করা হবে।'

সম্প্রতি একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও জামায়াত নেতা আলী আহসান মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকরের পর পাকিস্তান উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দেওয়ায় এবং সেসময় চালানো গণহত্যার দায় অস্বীকার করায় ১৯৫ জনের বিচারের দাবি আবারও আলোচনায় আসে।

আগামী ২৬ মার্চ রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সেই ১৯৫ জনের প্রতীকী বিচার করার ঘোষণা দিয়েছে ‌'আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ গণবিচার' নামের একটি সংগঠন।

সংবাদ সম্মেলনে তদন্ত সংস্থার প্রধান সমন্বয়ক আবদুল হান্নান খান আরও বলেন, 'পাকিস্তানের ১৯৫ জনের বিচারের বিষয়ে আমাদের সিভিল সোসাইটি যে দাবি করেছে, তা সংগত; আমি মনে করি, তাদের বিচার হওয়া উচিত।'

তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক সানাউল হকসহ মামলার তিন তদন্ত কর্মকর্তা জেড এম আলতাফুর রহমান, হেলালউদ্দিন এবং মো. নুর হোসেন এসময় উপস্থিত ছিলেন।