একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম রিভিউ শুনানিতে খালাস পেয়ে অবশেষে কারামুক্ত হয়েছেন।

তিনি রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। বুধবার (২৮ মে) সকালে সেখান থেকে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।

কারা অধিদপ্তরের সহকারী কারা মহাপরিদর্শক জান্নাত-উল ফরহাদ তার মুক্তির তথ্য গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে মঙ্গলবার (২৭ মে) একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডসহ বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ড থেকে খালাস পান জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম। ২০১৪ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তাকে সাজা দিয়েছিল।

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। তখনকার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ রায় দেন। পরে এই রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন করেন জামায়াত নেতা আজহারুল ইসলাম।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আজহারকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন।

এটিএম আজহারের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে রংপুর অঞ্চলে ১২৫৬ ব্যক্তিকে গণহত্যা-হত্যা, ১৭ জনকে অপহরণ, একজনকে ধর্ষণ, ১৩ জনকে আটক, নির্যাতন ও গুরুতর জখম এবং শতশত বাড়ি-ঘরে লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগের মতো নয় ধরনের ছয়টি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়। এসব অভিযোগের মধ্যে ১ নম্বর বাদে বাকি পাঁচটি অভিযোগে তাকে ট্রাইব্যুনাল মৃত্যুদণ্ড দেন।

এটিকে প্রহসনের রায় বলে আখ্যায়িত করে আসছে জামায়াতে ইসলামী। ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি ১১৩ যুক্তিতে জামায়াত নেতা আজহারকে নির্দোষ দাবি করে খালাস চেয়ে আপিল করেন তার আইনজীবীরা। আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় ৯০ পৃষ্ঠার মূল আপিলসহ ২৩৪০ পৃষ্ঠার আপিল দাখিল করা হয়।