সিলেটটুডে ডেস্ক

১০ মে, ২০১৬ ২২:৩০

কারাগারে ঢুকলেন ইমাম ও সিভিল সার্জন

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীর দণ্ড কার্যকরে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

এরই ধারবাহিকতায় মঙ্গলবার রাত ৯ টা ৫৫ মিনিটে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন সড়কে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রবেশ করেছেন ঢাকা জেলা সিভিল সার্জন ডা. আবদুল মালেক মৃধা।

কারাকর্তৃপক্ষ এতথ্য নিশ্চিত করে জানায়, এর আগে এশার নামাজের পর কারাগারে প্রবেশ করেন ওই মসজিদের ইমাম মনির হোসেন।

এর আগে নিজামীর সঙ্গে কারাগারে সাক্ষাৎ করেছেন তার পরিবারের স্বজনেরা।

রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, যুদ্ধাপরাধে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত মতিউর রহমান নিজামী রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চেয়ে আবেদন করেননি। মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে প্রস্তত রয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ।

এদিকে, মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসি রায় কার্যকরের জন্য ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের আট জল্লাদকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের আশপাশে কঠোর নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে। পুলিশ, র‌্যাব ও কারারক্ষীরা আশপাশে সতর্ক পাহারায় রয়েছেন। আশপাশের এলাকায় ফুটপাতের দোকান তুলে দেওয়া হয়। শত শত গণমাধ্যমকর্মী কারাগারের সামনে অবস্থান করছেন।

কারা সূত্রে জানা যায়, ফাঁসির মঞ্চে টানানো হয়েছে নতুন শামিয়ানা। আনা হয়েছে ম্যানিলা রশি। সে সঙ্গে প্রস্তুত রাখা হয়েছে রাজুর নেতৃত্বে হযরত, ইকবাল, মাসুদ, মোক্তার, রনি, সাত্তার ও আবুল নামে আট জল্লাদ।

নিজামীকে গত রোববার রাতে কাশিমপুর থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। এরপর তাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের রজনীগন্ধা সেলের সাত নম্বর কক্ষে রাখা হয়। সেলের আশপাশে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বসানো হয়েছে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা।

যে মঞ্চে সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের দণ্ড কার্যকর হয়েছে একই মঞ্চে নিজামীর ফাঁসি কার্যকর করার যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে কারা কর্তৃপক্ষ। কারাবিধি অনুযায়ী তিন বেলা নিজামীকে খাবার দেওয়া হচ্ছে। সোমবার নিজামীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন কারাগারের একজন চিকিৎসক।

নিজামীর আপিলের চূড়ান্ত রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজের পর পূর্ণাঙ্গ রায়ে বিচারকদের স্বাক্ষরের পর তা প্রকাশ করা হয়। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে চার বিচারপতির স্বাক্ষর করা ২২ পৃষ্ঠার রায়ের অনুলিপি সোমবার বিকেলে বিচারিক আদালত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।

একই সঙ্গে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয়, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কার্যালয় ও দু'পক্ষের আইনজীবীর কাছে রায়ের অনুলিপি পাঠানো হয়েছে। সর্বোচ্চ আদালতের দেওয়া রিভিউ খারিজের রায়ে বিচারকদের স্বাক্ষরের পর সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তা প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্ট। ওই রায় সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করা হয়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত