সিলেটটুডে ডেস্ক:

২৫ আগস্ট, ২০২১ ২০:১৩

যত ঘুরবে বাইসাইকেলের চাকা চাকা, আয়ু বাড়বে তত

সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি অফিসে বসে কাজ তারপর মুটিয়ে যাওয়া, জিমে গিয়ে ব্যায়াম করার সময় নেই যাদের, সেই তাদের জন্য সাইকেল চালানো হচ্ছে সারা দিনের আদর্শ ব্যায়াম। প্রয়োজন শুধু একটি দ্বিচক্রযান, আধঘণ্টা সময় আর খানিকটা আত্মবিশ্বাস।

দুশ্চিন্তা, উদ্বেগ, আতঙ্ক একটু একটু করে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়। মানসিক উদ্বেগ থেকেই ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপের মত রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তাই শরীরচর্চায় ওজন নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে সঙ্গেই মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ কমানোর পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এ সব শরীরচর্চার মধ্যে সবচেয়ে ভালো হলো সাইক্লিনিং।

সম্প্রতি জেএএমএ ইন্টারনাল মেডিসিন জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়েছে, নিয়মিত সাইকেল চালালে আয়ু ক্ষয় কমতে পারে। ওই গবেষণা আরো বলেছে, সাইকেল চালালে শরীরচর্চার পাশাপাশি জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও কমে। প্রায় ৭ হাজার মানুষকে নিয়ে ৫ বছর ধরে গবেষণাটির করা হয়। যাদের প্রায় অধিকাংশই ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত ছিলেন।

গবেষণা শেষে দেখা গিয়েছে, পাঁচ বছর ধরে প্রতিদিন সাইকেল চালালে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে গিয়েছে অনেকটুকু। গবেষকদের দাবি, সাইকেল চালালে প্রায় ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে ডায়াবেটিসের মাত্রা। তাই নিয়মিত সাইকেল চালালে যেমন ওজন কমবে, তেমনই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়েও কমবে দুশ্চিন্তা পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে এনে হৃদরোগের আশঙ্কাও কমাবে এই ব্যায়াম।

সাইকেল চালানোর আগে কী করবেন

অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন। সপ্তাহে দুই-তিন দিন, তারপর আস্তে আস্তে পাঁচ-সাত দিন পর্যন্ত সময় বাড়াতে পারেন। ধীরে ধীরে সাইকলের গতি বাড়াবেন। এবং নিরাপত্তার কথা খেয়াল রেখে হেলমেট, নিপ্যাড, এলবোপ্যাড পরুন এবং সঠিক আকারের সাইকেল বেছে নিন। প্রতিদিন বের হওয়ার আগে সাইকেলের টায়ার, পাম্প, গিয়ার ও নাটবল্টু দেখে বের হবেন।

এক নজরে কেন দরকার সাইকেল চালানো

সাইক্লিং শক্তি বাড়ায়। মনকে ফুরফুরে রাখে।

প্রতিদিন আধা ঘণ্টা সাইকেল চালালে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

যুক্তরাষ্ট্রের এক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা সপ্তাহে কমপক্ষে তিন দিন আধা ঘণ্টা করে ভালো গতিতে সাইক্লিং করেন, তাদের উচ্চ রক্তচাপ কমেছে।

নিয়মিত সাইক্লিং হজমক্ষমতা (মেটাবলিক রেট) বাড়িয়ে ক্যালরি দহনে সাহায্য করে।

প্রতি ঘণ্টায় ৩০০ ক্যালরি পুড়ে বছরে ১১ পাউন্ড চর্বি ঝরায়। জগিং করলে যত ক্যালরি পোড়ে, প্রায় একই পরিমাণ ক্যালরি সাইক্লিংয়ে পোড়ে।

তবে জগিং বা হাঁটায় জয়েন্টের ওপর চাপ পড়ে, সাইকেল চালালে হাঁটু, পায়ের গোড়ালি বা স্পাইনে তার চেয়ে কম চাপ পড়ে। যাঁদের বয়স চল্লিশের কাছে এবং হাঁটু বা স্পাইনের সমস্যা আছে, তাঁরা সাইক্লিং করলে উপকার পাবেন।

শারীরিক শক্তি এবং পেশি মজবুত করতে সাহায্য করে। বাহু থেকে পা, পা থেকে হাত এবং শরীর ও চোখের উন্নতি ঘটায়।

সাইক্লিং ওজন কমাতে সাহায্য করে। যারা সপ্তাহে দুই দিন সাইকেলে চেপে কাজে যান, তারা মাসে ৩০০০ ক্যালরি অতিরিক্ত ঝরাতে পারেন।

সাইক্লিং মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। নিয়মিত সাইক্লিং চাপ ও বিষণ্নতা দূর করে।

সূত্র: ইত্তেফাক অনলাইন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত