সিলেটটুডে ডেস্ক

২৩ এপ্রিল, ২০১৯ ২২:৩৬

হাত পরিষ্কারের ৬ ধাপ

ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও)’র মতে, প্রায় ১৪ লাখেরও বেশি প্রদাহজনীত রোগবালাইয়ের পেছনে দায়ী ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতার অভাব। পরিচ্ছন্নতার অভাবে যেহেতু বেশিরভাগ সংক্রামক রোগের কারণ, তাই হাতের পরিচ্ছন্নতা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। ডব্লিউএইচও বহুদিন থেকেই মানুষকে সাবান ও পানি কিংবা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার রাখতে উৎসাহীত করার চেষ্টা করছে। জীবাণু ও ভাইরাস থেকে সুরক্ষা পাওয়া এটাই প্রথম ধাপ।

হাতের পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করাতে নিচের পন্থাগুলো অবলম্বন করতে পারেন।

নিয়মিত হাত ধোয়া: নির্দিষ্ট সময় পরপর হাত ধোয়া ক্ষতিকর জীবাণু থেকে রক্ষা পাওয়ার সব চাইতে কার্যকর উপায়। হাতে সাবান মাখিয়ে ৩০ সেকেন্ড পর্যন্ত পলিষ্কার করতে হবে। আর আঙুলে ভাঁজ আর নখ পরিষ্কারের কথা ভুলে গেলে চলবে না। আর হাতে সাবান মাখানোর সময় পানির কল বন্ধ করে নিন, পানির অপচয় রোধ করতে হবে।

সয়ংক্রিয় সাবান নির্গমন যন্ত্র: এই যন্ত্রের ব্যবহার জীবাণু ও ব্যাকটেরিয়া ছড়ানোর হার কমায়। শৌচাগার, রান্নাঘর, অফিস, বিদ্যালয়, হাসপাতাল, রেস্তোরাঁ ইত্যাদি স্থানে এই যন্ত্রগুলো অবশ্যই ব্যবহার করা উচিত। এতে সাবানে জীবাণু মিশতে পারে না।

হ্যান্ড স্যানিটাইজার সঙ্গে রাখা: সাবানের পাশাপাশি একটি ভালো মানের অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার ব্যবহার করা উচিত সকলের। এই স্যানিটাইজারে লেবু, নিম, ‘রিভেরা’ ও ‘উশিরা’ নামক ভেষজ আছে কিনা দেখে নিতে হবে। রিভেরা একটি সুগন্ধি ভেষজ যার আছে ব্যাকটেরিয়ারোধী, সুগন্ধি ও শীতলকারী গুণাগুণ থাকে। লেবু ত্বককে চুলকানি ও অক্সিডেটিভ সমস্যা থেকে রক্ষা করে। উশিরা হল সংকোচকারী ভেষজ যা অত্যধিক তাপ দূর করতেও সহায়ক। আর নিমের আছে অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল উপাদান।

হাত শুকানো: গবেষণা বলে, শুকনা হাতের তুলানায় ভেজা হাতের মাধ্যমে জীবাণু ছড়ায় দ্রুত। তাই ধোয়ার পর হাত ভালোভাবে মুছে শুকিয়ে নিতে হবে। আঙুলের ফাঁকে এবং নখও ভালোভাবে মুছে নিতে হবে।

নখ ছোট রাখা: হাতের নখ ছোট করে কেটে রাখা এবং নিয়মিত নখ পরিষ্কার করা জরুরি। কারণ নখের সঠিক পরিচর্যা জীবাণুর সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। গোসলের পর নখ কাটা ভালো। কারণ এসময় নখ কিছুটা নরম থাকে। দীর্ঘসময় কৃত্রিম নখ ব্যবহার পরিহার করতে হবে। কারণ এ থেকেও প্রদাহ দেখা দিতে পারে।

হাতের মধ্যে হাঁচি না দেওয়া: জীবাণু মুক্ত থাকতে সবসময় রুমালে কিংবা টিস্যুতে হাঁচি ফেলা উচিত। দুটার কোনোটাই হাতের কাছে না থাকলে কনুইয়ের উপরের ভাঁজ দিয়ে মুখ ঢেকে হাঁচি ফেলতে পারেন। একটি হাঁচির মাধ্যমে লক্ষাধিক জীবাণু বেরিয়ে আসে এবং তা ছড়াতে পারে ৩২ ফিট দূরত্ব পর্যন্ত। ফলে আপনার একটি হাঁচি আশপাশের সকলের মধ্যে জীবাণু ছড়াতে পারে।

সাধারণ এই অভ্যাসগুলো রপ্ত করতে পারলে হাত থাকবে জীবাণু মুক্ত, সুরক্ষা মিলবে নানান রোগবালাই থেকে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত