অনলাইন ডেস্ক

০৯ মে, ২০২০ ২৩:১২

করোনাকালীন শিশুদের স্বস্তি এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ৮ পরামর্শ

করোনার কারণে বেশিরভাগ মানুষই ঘরবন্দী হয়ে সময় কাটাচ্ছেন। এর প্রভাবে শিশুদের স্কু্লও বন্ধ। অন্যদিকে আবার অনেক বাবা-মাকে বাড়িতে বসে কাজ করতে হচ্ছে। সব মিলিয়ে প্যারেন্টিং বেশ চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। এ সময়টা বাবা-মা কীভাবে মোকাবেলা করতে পারেন তা নিয়ে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ কিছু পরামর্শ দিয়েছে।

যেমন-
১. শিশুরা এর মধ্যে করোনার কথা জেনেছে। তাদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে হবে। গোপন করা বা নীরব থাকা যাবে না। তাদের সত্যিটা জানা জরুরি। তবে সে যতটা বুঝতে পারবে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে তার সঙ্গে ততটাই কথা বলুন। যদি বিষয়টি নিয়ে সে আতঙ্কগ্রস্ত থাকে তাহলে তার মনোভাব শেয়ারের সুযোগ দিন।
২. স্কুল বন্ধ থাকার এ সময় সন্তানদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো করতে পারেন। তাদের সঙ্গে মজা করুন। তাদেরকে সময় দিন। এতে শিশুরা নিজেদের সুরক্ষিত ও গুরুত্বপূর্ণ মনে করবে।
৩. আমরা প্রায়ই শিশুদের এটা করো না, ওটা করো না, ওটা করো না বলি। কিন্তু তাদের প্রশংসা করলে, ইতিবাচকভাবে আদেশ দিলে তাদের মন ভালো থাকবে। তারা ভালো কাজে উৎসাহী হবে।
৪. কোভিড-১৯ এর প্রভাবে সবারই জীবনযাত্রায় পরিবর্তন এসেছে। শিশুদের জন্য এটা আরও খারাপ হয়েছে। তাদেরকে পড়াশোনা, খেলাধুলা বা অন্য কাজের জন্য আলাদা রুটিন তৈরি করে দিন। ছবি আঁকতে দিন। ঘরের কাজে উৎসাহিত করুন।
৫. শিশুদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা শেখান। হাত ধোয়া, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা শেখান।
৬. লকডাউনের কারণে অনেক শিশু, টিন এজার দিনের অনেকটা সময় অনলাইনে কাটাচ্ছে। তারা অনলাইনে কি দেখছে সেদিকে লক্ষ্য রাখুন। বাড়িতে কীভাবে ডিভাইস ফ্রি পরিবেশ তৈরি করা যায় সেই চেষ্টা করুন।
৭. লকডাউনের এই সময় সবারই মানসিক চাপ হয়। এ কারণে নিজের এবং শিশুদের মানসিক চাপ কমানোর চেষ্টা করুন। বেশি চাপ বোধ করলে কাজে বিরতি নিন। নিঃশ্বাসের ব্যায়াম করুন।
৮. পরিবারের মধ্যে যদি একাত্মতা থাকে, শিশুরা এ সময় নিজেদের নিরাপদ বোধ করবে। পরস্পরের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব শান্তিপূর্ণ পারিবারিক পরিবেশ বজায় রাখবে। পারিবারিক পরিবেশ খারাপ হলে সেটা শিশুদের ওপরও প্রভাব ফেলে। তাই যতটা সম্ভব বাড়িতে শান্তির পরিবেশ বজায় রাখুন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত