অনলাইন ডেস্ক

০৯ মে, ২০২০ ২৩:২৮

ডায়াবেটিস প্রশমনে সাদা বেগুন

যারা বেগুন খেতে পছন্দ করেন তাদের কাছে সাদা বেগুন হলো এক লোভনীয় বেগুন। রাঁধুনিরা সাদা বেগুন পছন্দ করেন কারণ এ বেগুন ভাজতে তেল খুব কম লাগে, শাঁস গলে মাখনের মত হয়ে যায়, বীজ কম আর স্বাদে মিষ্টি। বিশ্বব্যাপী বেগুনপ্রেমীদের কাছে সাদা বেগুনের পরিচয় ‘Apple of love’ নামে।

এ বেগুন গাছ বাড়ির আঙ্গিনাতে হয়, ঘরের পৈঠায় দু চারটা গাছ লাগিয়ে রাখলে সারা বছর ধরে গাছ থেকে যখন তখন বেগুন তুলে খাওয়া যায়।  সাদা বেগুনের গাছ বাঁচে কয়েক বছর। একবার এ গাছ লাগালে তা থেকে কমপক্ষে তিন-চার বছর ফল পাওয়া যায়। ধবধবে দুধের মতো সাদা বেগুনের চেহারাটাও আকর্ষণীয়।

এ বেগুনে পোকামাকড় ও রোগের আক্রমণও হয় খুব কম, গাছে কোনো জল দিতে হয় না। বাড়িতে দু চারটা গাছ লাগিয়ে যত্ন করলেই হয়। কোনো সার ও কীটনাশক তাতে দেয়া লাগে না। তাই এসব বেগুনের স্বাদ যেমন ভাল, এটি খেলে স্বাস্থ্যও থাকে নিরাপদ। তাছাড়া সাদা বেগুনের পুষ্টিমান অন্য জাতের বেগুনের চেয়ে বেশি। বিশেষ করে সাদা বেগুন উচ্চ মাত্রার পটাসিয়াম সমৃদ্ধ এবং কম ফ্যাট ও প্রোটিনযুক্ত। ভারতীয় আয়ুর্বেদাচার্যদের বিশ্বাস, সাদা বেগুন ডায়াবেটিস প্রশমনে ভালো কাজ করে, এ গাছের শেকড় অ্যাজমা রোগের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়।

সবার কাছে এটি সাদা বেগুন নামেই বেশি পরিচিত। তাছাড়া কেউ বলে ধলিবেগুন, কেউ বলে সাহেব বেগুন, কেউ বলে ডিমবেগুন। বিদেশি সাহেবদের মতো ধবধবে তো, তাই এর এই ডাকনাম। এ জাতের কোনো নামকরণের তথ্য পাওয়া যায়নি। দেশের দক্ষিণাঞ্চল পটুয়াখালী, বরগুনা, ঝালকাঠি, বরিশাল প্রভৃতি জেলার অনেক জায়গায় এ বেগুনের চাষ এখন ছড়িয়ে পড়েছে। সিলেটের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসতবাড়িতে এই বেগুনের চাষ করা হয়।  বাণিজ্যিকভাবে কম করা হলেও বসতবাড়িতে এ জাতের বেগুন লাগানো হচ্ছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত