০৫ অক্টোবর, ২০২০ ১৫:০৫
নকল এন-৯৫ মাস্ক সরবরাহ মামলায় কেন্দ্রীয় ওষুধাগারের (সিএমএসডি) ছয় কর্মকর্তাসহ ৭ আসামির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। সোমবার (৫ অক্টোবর) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সচিব দিলোয়ার বখত সাংবাদিকদের এই তথ্য জানিয়েছেন।
আসামিরা হলেন- কেন্দ্রীয় ওষুধাগারের (সিএমএসডি) উপ-পরিচালক ডা. জাকির হোসেন, সহকারী পরিচালক (স্টোরেজ অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন) ডা. শাহজাহান সরকার, চিফ কো-অর্ডিনেটর ও ডেস্ক অফিসার জিয়াউল হক, ডেস্ক অফিসার (বর্তমানে মেডিক্যাল অফিসার, জামালপুর) সাব্বির আহমেদ, স্টোর অফিসার (পিআরএল ভোগরত) কবির আহমেদ এবং সিনিয়র স্টোর কিপার ইউসুফ ফকির এবং জেএমআই হসপিটাল রিক্যুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেডের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক।
ইতিমধ্যে আব্দুর রাজ্জাককে রাজধানীর সেগুনবাগিচা থেকে গ্রেপ্তার করে দুদকের পরিচালক মীর জয়নুল আবেদীন শিবলীর নেতৃত্বাধীন একটি দল। বর্তমানে তাকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়টি চলমান রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
এর আগে গত ২৯ সেপ্টেম্বর দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ কেন্দ্রীয় ওষুধাগারের (সিএমএসডি) ছয় কর্মকর্তা ও আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, চিকিৎসক-নার্স এবং অন্যদের করোনা থেকে রক্ষার জন্য এন-৯৫ মাস্ক সরবরাহের জন্য জেএমআই গ্রুপের সঙ্গে চুক্তি করেছিল সরকার। জেএমআই গ্রুপ ২০ হাজার ৬১০টি মাস্ক সরবরাহ করে। পরে দেখা যায়, ওই মাস্কগুলো এন-৯৫ মাস্ক নয়। সেগুলো ১০টি প্রতিষ্ঠানে বিতরণ করা হয়েছিল।
নিম্নমানের মাস্ক, পিপিই ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সরঞ্জাম কেনা, সেসব সরঞ্জাম বিভিন্ন হাসপাতালে সরবরাহের নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ, অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং কেন্দ্রীয় ওষুধাগারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গত ১০ জুন অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।
আপনার মন্তব্য