সিলেটটুডে ডেস্ক

১৭ ডিসেম্বর, ২০২০ ২২:৩৩

রোকেয়ায় জাতীয় পতাকার বিকৃতি: নয় শিক্ষক-কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ

বিজয় দিবসের দিন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় পতাকার অবমাননার সঙ্গে জড়িত শিক্ষক-কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন ও সমাবেশ কর্মসূচি পালন হয়েছে।

এই ঘটনায় রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি আরিফুল ইসলাম আরিফ বাদী হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তাবিউর রহমানকে প্রধান আসামি করে নগরীর তাজহাট থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

তাজহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আখতারুজ্জামান লিখিত অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।’

শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের বিভিন্ন পদে থাকা শিক্ষক ও কর্মকর্তা ১৫-২০ জন মিলে ক্যাম্পাসে অবস্থিত স্বাধীনতা স্মারকে শ্রদ্ধা নিবেদনের নামে বিকৃত জাতীয় পতাকা নিয়ে স্বাধীনতা স্মারকে দাঁড়িয়ে ছবি তোলেন। পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেসব ছবি পোস্ট করলে সমালোচনার ঝড় ওঠে। ছবিতে দেখা যায় জাতীয় পতাকার গোলাকার লাল বৃত্তটি বিকৃত করে আয়তকার বানানো হয়েছে। জাতীয় পতাকা যেখানে ঊর্ধ্বমুখী হবে সেখানে তারা জাতীয় পতাকার অবমাননা করে পতাকা নিম্নমুখী করে ফেলেছে। এতে করে মহান মুক্তিযুদ্ধ ৩০ লাখ মানুষের বলিদান ও মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে পাওয়া পতাকার অবমাননা করা হয়েছে।

এই ঘটনায় বেরোবি ক্যাম্পাসে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেছেন। পরে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেন তারা। সমাবেশে বেরোবি বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক মাহমুদুল হক, রসায়ন বিভাগের শিক্ষক তারিকুল ইসলামসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।

বক্তারা অভিযোগ করেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে ঘাপটি মেরে থাকা স্বাধীনতাবিরোধীরা মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত মহান জাতীয় পতাকাকে বিকৃত করেই ক্ষান্ত হয়নি, তারা এর অবমাননা করে সেই ছবি ফেসবুকে পোস্ট করার ধৃষ্ঠতা দেখিয়েছে। অবিলম্বে দায়ীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের দাবি করেন তারা।

অন্যদিকে একই দাবিতে বেরোবির সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে মহানগর যুবলীগ। তারা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাবিউর রহমানসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে। যে ৯ জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে তারা হলেন বেরোবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তাবিউর রহমান, বাংলা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক পরিমল চন্দ্র বর্মণ, ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক শামীম হোসেন, ইতিহাস ও প্রত্নতত্ব বিভাগের শিক্ষক সোহাগ আলী, মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষক ও সহকারী প্রক্টর মাহমুদুল ইসলাম, সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক রাম প্রসাদ, শিক্ষক রহমতুল্লা, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক আব্দুল কাইয়ুম এবং উপাচার্যের পিএস আমিনুর রহমান।

এসব বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত শিক্ষক তাবিউর রহমানসহ ৯ শিক্ষক-কর্মকর্তার মোবাইলফোনে যোগাযোগ করা হলেও তাদের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। ফলে তাদের বক্তব্য জানা যায়নি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত