সিলেটটুডে ডেস্ক

১২ ফেব্রুয়ারি , ২০২১ ১৫:০১

দেশে ফিরেই গ্রেপ্তার রন সিকদার

বাবা জয়নুল হক সিকদারের মৃত্যুর কারণে ঢাকায় এসে গ্রেপ্তার হলেন সিকদার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রন হক সিকদার।

এক্সিম ব্যাংকের দুই কর্মকর্তাকে নির্যাতন ও গুলি করে হত্যাচেষ্টার মামলা আছে তার বিরুদ্ধে। এই মামলায় তার ভাই দিপু হক সিকদারও আসামি। তবে তিনি দেশে আসেননি।

গত ১৯ মে মামলা করার আগে থেকেই দুই ভাই দেশের বাইরে চলে যান। পলাতক অবস্থায় তারা উচ্চ আদালত থেকে জামিন দেয়ার চেষ্টা করেন। এ নিয়ে বিচারক ভর্ৎসনাও করেন তার আইনজীবীদের।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার গোলাম সাকলাইন শিথিল জানান, শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়।

রন দেশে এসেছেন তার বাবা জয়নুল হক সিকদারের মৃত্যুর ঘটনায়। জয়নুল গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টায় দুবাইয়ের একটি হাসপাতালে মারা যান।

বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নুলের বয়স হয়েছিল ৯১ বছর। দেশের বিশিষ্ট শিল্পপতির মরদেহ বিকেলে দেশে আসার কথা রয়েছে।

মরদেহ বিমানবন্দর থেকে নেয়া হবে রায়েরবাজারে সিকদার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল প্রাঙ্গণে। সেখানে জানাজা শেষে মরদেহ নেয়া হবে শরীয়তপুরের মধুপুরের গ্রামের বাড়িতে। সেখানে মায়ের কবরের পাশে সমাহিত হবেন জয়নুল হক সিকদার।

জয়নুলের দুই ছেলে রন ও দিপুর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা এক্সিম ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ হায়দার আলী মিয়া ও অতিরিক্ত এমডি মুহাম্মদ ফিরোজ হোসেনকে একটি ঘরে বন্দি করে গুলি করে হত্যার হুমকি দেন।

পরে সাদা কাগজে সই নিয়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

মামলায় বলা হয়, সিকদার গ্রুপ এক্সিম ব্যাংকের কাছে ৫০০ কোটি টাকা ঋণ নিতে চেয়েছিল। এরপর ব্যাংকটির দুই কর্মকর্তা ঋণ প্রস্তাবের বিপরীতে গ্রুপের বন্ধকি সম্পত্তি পরিদর্শনে যান।

পরিদর্শনে দেখা যায়, সিকদার গ্রুপের এমডির দাবির তুলনায় বন্ধকি সম্পত্তির মূল্য কম। তখন এ নিয়ে কথাবার্তার এক পর্যায়ে দুই ব্যাংক কর্মকর্তাকে একটি অ্যাপার্টমেন্টে আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়।

মামলায় বলা হয়, দুই ভাই তাদের গুলি করে হত্যার হুমকি দিয়েছেন। পাশাপাশি সাদা কাগজে সইও নিয়েছেন।

সিকদার গ্রুপের ব্যবসা আছে ব্যাংক, বিমা, বিদ্যুৎ, এভিয়েশন, আবাসন, স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষার মত নানা খাতে।

বেসরকারি ন্যাশনাল ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা সিকদার গ্রুপের চেয়ারম্যান ছিলেন জয়নুল হক সিকদার। এর সহযোগী কোম্পানির মধ্যে রয়েছে পাওয়ার প্যাক পোর্টস, পাওয়ার প্যাক ইকনোমিক জোন, সিকদার ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড, পাওয়ার প্যাক হোল্ডিংস, সিকদার রিয়েল এস্টেট ও মাল্টিপ্লেক্স হোল্ডিংস।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত