সিলেটটুডে ডেস্ক

১১ জুলাই, ২০২২ ১১:৩৩

চামড়া পাচার ঠেকাতে সীমান্তে কঠোর নজরদারি

দেশে সবচেয়ে বেশি কাঁচা চামড়া সংগ্রহ করা হয় ঈদুল আজহায়। এ সময় দেশে বিভিন্ন ধরনের পশু কোরবানি করা হয়, যা থেকে সারা বছরের অন্তত ৬০ শতাংশ চামড়া সংগ্রহ হয়।

আবার এই সময়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ও পাচারকারীরা সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচার করে কাঁচা চামড়া।

ঈদের পর সীমান্ত দিয়ে অবৈধ পথে ভারতে চামড়া পাচার রোধে তাই সাতক্ষীরার পুরো সীমান্তে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও জেলা পুলিশ।

সীমান্তে গোয়েন্দা নজরদারির পাশাপাশি বাড়ানো হয়েছে টহল। সীমান্তের কার্যক্রম সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করছেন বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

সাতক্ষীরায় বিজিবির তিনটি ব্যাটালিয়নের অধীনে সীমান্ত এলাকা রয়েছে ২৭৮ কিলোমিটার। এই দীর্ঘ সীমান্তের প্রায় ৩০টি চোরা ঘাট দিয়ে মানব পাচার ও চামড়াসহ বিভিন্ন পণ্য চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত রয়েছে একাধিক সিন্ডিকেট।

সীমান্তে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী তৎপর হলে এসব সিন্ডিকেটের হোতারা গা ঢাকা দেয় বলে জানায় পুলিশ।

তবে ঈদুল আজহায় এসব সিন্ডিকেটের সদস্যরা আবারও তৎপর হয়েছে বলে জানিয়েছে সীমান্তের স্থানীয় বাসিন্দারা।

সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ আল-মাহমুদ বলেন, ‘পশুর চামড়া পাচার রোধে সীমান্তে বাড়তি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে বিজিবি। টহল ও গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করা হয়েছে।’

সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘চামড়া পাচার রোধে পুলিশ সদস্যদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারি। সীমান্তের সড়কে কোনো চামড়াবাহী যানবাহন ঢুকতে পারবে না। অন্য জেলা থেকেও চামড়াবাহী কোনো যানবাহন সাতক্ষীরা জেলায় প্রবেশ করতে পারবে না।’

তবে জেলার চামড়া ব্যবসায়ীরা তাদের সংগৃহীত চামড়া যশোর ও ঢাকার আড়ত এবং ট্যানারিতে নিয়ে যেতে পারবেন বলে জানান তিনি।

এ বছর কোরবানি থেকে চামড়া আড়তদার ও ট্যানারি মালিকরা প্রায় ৯০ লাখ পিস চামড়া সংগ্রহের আশা করছেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত