সিলেটটুডে ডেস্ক

০৪ অক্টোবর, ২০২৩ ১১:২৪

দিল্লিতে হাসিনা-বাইডেনের যে আলাপ হয়েছিল

গত সেপ্টেম্বরে দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সেলফি তুলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন

বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে নিয়ে ঢাকা-ওয়াশিংটনের মধ্যকার সাম্প্রতিক দূরত্ব, ভিসানীতি এবং ঢাকাস্থ মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের দৌড়ঝাঁপ নিয়ে দেশ দুটোর মধ্যে সম্পর্কের যে টানাপড়েন চলছিল, সে সময় গত সেপ্টেম্বরে দিল্লিতে সাক্ষাৎ হয়েছিল শেখ হাসিনা ও জো বাইডেনের।

দিল্লিতে অনুষ্ঠিত জি২০ সম্মেলন চলাকালে শেখ হাসিনার সঙ্গে জো বাইডেনের সেলফি দেশব্যাপী তুমুল আলোচনার জন্ম দিয়েছিল। সেই সময় দুই দেশের নেতার আলোচনা নিয়ে কিছু বলা হয়নি আনুষ্ঠানিকভাবে। অবশেষে মুখ খুলেছে হোয়াইট হাউস।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের কৌশলগত যোগাযোগবিষয়ক সমন্বয়কারী জন কিরবি এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানান। এ ছাড়া গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভানের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন শেখ হাসিনা বলে জানান তিনি।

জন কিরবিকে প্রশ্ন করা হয়, গত সপ্তাহে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রহ্মণম জয়শংকরের সঙ্গে বৈঠক করেছেন জ্যাক সুলিভান। এই অবস্থায় আপনি বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ককে কীভাবে দেখছেন? এ ছাড়া গত মাসে নয়াদিল্লিতে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি সাক্ষাৎ হয়েছে। সেখানে কী তারা নির্বাচন ও রোহিঙ্গা ইস্যুতে কথা বলেছেন?

জবাবে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের কৌশলগত যোগাযোগবিষয়ক সমন্বয়কারী জন কারবি বলেন, ‘তারা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের গুরুত্বের বিষয়ে কথা বলেছেন। তারা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলাসহ বিভিন্ন দ্বিপক্ষীয় ইস্যুতে কথা বলেছেন।’

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, বাংলাদেশিরা শান্তিপূর্ণ উপায়ে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায় এবং আমাদের চাওয়াও তাই। আমাদের ভিসা নীতি প্রয়োগ করা হয়েছে মূলত বাংলাদেশি জনগণের অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের নেতা নির্বাচনের যে আকাঙ্ক্ষা, সেটিকে সমর্থন করতে।

ম্যাথিউ মিলার বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র তাই চায়, যা বাংলাদেশিরা চায়—শান্তিপূর্ণ উপায়ে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। সরকার, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজ এবং বাংলাদেশের গণমাধ্যমগুলো আসন্ন জাতীয় নির্বাচন শান্তিপূর্ণ উপায়ে অবাধ ও সুষ্ঠু হওয়ার বিষয়ে তাদের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছে, এটিই আমাদের চাওয়া।’

ভিসা নিষেধাজ্ঞা বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণের মুক্তভাবে নিজেদের নেতা নির্বাচনের যে আকাঙ্ক্ষা, সেটিকে সমর্থন দিতেই আমরা আমাদের ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগের ঘোষণা দিয়েছি।’

এ সময় তিনি বলেন, ‘আমি আবারও বলছি, যুক্তরাষ্ট্র কোনো নির্দিষ্ট দলকে সমর্থন করে না এবং নির্বাচনের ফলাফলে কোনো ধরনের প্রভাবও বিস্তার করতে চায় না। তবে যুক্তরাষ্ট্র এটি নিশ্চিত করতে চায় যে, বাংলাদেশের জনগণ যেন অবাধে তাদের নেতা নির্বাচন করতে পারে।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত