সিলেটটুডে ডেস্ক

২৪ এপ্রিল, ২০২৪ ১৬:৫৯

মিয়ানমার থেকে দেশে ফিরলেন ১৭৩ বাংলাদেশি

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সিতোয়ে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া বাংলাদেশি নাগরিকরা দেশে ফিরেছেন।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুর ১টা ২০ মিনিটের দিকে তাদের বহনকারী টাগবোটটি কক্সবাজারের নুনিয়াছড়ায় বিআইডব্লিউটিএ ঘাটে পৌঁছায়।

তারপর একে একে নামিয়ে আনা হয় প্রত্যেককে। নির্ধারিত স্থানে রাখার পর তথ্য যাচাই-বাচাই শুরু হয়। সেখান থেকে তাদের আইনি প্রক্রিয়া শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের কথা রয়েছে।

ইয়াঙ্গুনে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস মিয়ানমারের জাহাজটি বাংলাদেশ সফরে যাওয়ার তথ্য পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং মিয়ানমারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি তুলে ধরে।

সর্বোচ্চ সংখ্যক যাচাইকৃত বাংলাদেশি নাগরিককে দ্রুত ও সহজে ফেরত পাঠানোর পরিকল্পনায় দূতাবাস মিয়ানমারের বিভিন্ন কারাগারে অবস্থানরত ১৪৪ জন ‘যাচাইকৃত বাংলাদেশি নাগরিক যাদের কারাভোগের মেয়াদ পূর্ণ হয়েছে বা ক্ষমা পেয়েছেন’ তাদেরকে সিতোয়ে কারাগারে আনতে উদ্যোগ নেয়। পাশাপাশি আরও ২৯ জন যাচাইকৃত বাংলাদেশি নাগরিক, যারা এখনো কারাভোগরত কিংবা বিচারাধীন, একই সঙ্গে তাদেরকেও মুক্তি দেওয়ার বিষয়টি স্বাগতিক দেশের কাছে তুলে ধরে, যার ভিত্তিতে সাজা মওকুফ করে তাদেরকেও দেশে পাঠানো হয়।

এদিকে, বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির আক্রমণের মুখে প্রাণভয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যসহ (বিজিপি) ৩৩০ জনকে দেশটির বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) কাছে হস্তান্তর করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি তাদের হস্তান্তর প্রক্রিয়া শেষ করে বিজিবি।

সর্বশেষ ৩ অক্টোবর ২০২৩ দুই দেশের সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে অনুষ্ঠিত পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে মিয়ানমারে কারাভোগ শেষ করা ২৯ জন বাংলাদেশি নাগরিককে দেশে পাঠানো হয়। ইয়াঙ্গুনে বাংলাদেশ দূতাবাস এবং বাংলাদেশ কনস্যুলেট, সিতোয়ে সেই প্রত্যাবাসনের পর থেকেই মিয়ানমারে অবশিষ্ট বাংলাদেশি নাগরিকদের দেশে পাঠাতে কাজ করছে।

বাংলাদেশ দূতাবাস, ইয়াঙ্গুন এবং বাংলাদেশ কনস্যুলেট, সিতোয়ের প্রতিনিধিরা বিগত কয়েক দিন স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয়, যাচাইকরণ প্রক্রিয়া পরিচালনা এবং প্রত্যাবর্তনকারীদের ভ্রমণের অনুমতি (ট্রাভেল পারমিট) প্রদানসংক্রান্ত কাজ করেছেন।

এই ১৭৩ জনের মধ্যে ১২৯ জন কক্সবাজার, ৩০ জন বান্দরবান, সাতজন রাঙামাটির এবং খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, রাজবাড়ী, নরসিংদী ও নীলফামারী জেলার একজন করে রয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত