নিউজ ডেস্ক

২৩ মার্চ, ২০১৬ ০৯:৪৪

নির্বাচনী সহিংসতায় দেশজুড়ে ১১ জনের প্রাণহানি

ইউনিয়ন পরিষদে প্রথম পর্বের নির্বাচনে সারাদেশের নির্বাচনী সহিংসতায় প্রাণ দিতে হয়েছে ১১ জনকে। এসময় আহত হয়েছেন আরো অনেকে।

অন্তত ছটি জেলায় ব্যালট বাক্স ছিনতাই, ভোট গণনা ও নির্বাচনের ফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে এসব হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।

এর মধ্যে পিরোজপুর জেলার মঠবারিয়াতে বিজিবি সদস্যদের গুলিতে নিহত হয়েছে পাঁচজন।

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে দেশের বিভিন্ন জেলায় কয়েক দিন ধরেই সংঘর্ষ ও সহিংসতার ঘটনা ঘটছিলো।

মঠবারিয়ায় স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, রাতে সেখানে একটি কেন্দ্রে পোলিং অফিসারকে আটক করে রাখা ও তার কাজে বাঁধা দেয়ার ঘটনার এক পর্যায়ে সেখানে গুলি চালায় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা বিজিবি সদস্যরা।

তাতে ঘটনাস্থলেই তিন জন মারা যায়। পরে হাসপাতালে নেয়ার পথে আরো দু'জন মারা যায়।

আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা যাচ্ছে। তাদের বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

অন্যদিকে টেকনাফের পুলিশ বলছে, সাবরাং ইউনিয়নের একটি কেন্দ্রে রাতে ভোট গণনার সময় দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন এবং এর কিছু পরে একই ইউনিয়নের আরেকটি কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে আর একজন নিহত হয়।

সিরাজগঞ্জ, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী ও নেত্রকোনায় একজন করে নিহত হয়েছেন।

প্রথম পর্বের এই নির্বাচনকে ঘিরে সারাদিন ধরেই বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার একটি ইউনিয়নে দুজন নির্বাচনী কর্মকর্তা গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।

সারাদেশ জুড়ে আহত হয়েছে পুলিশের অনেক সদস্য।

বাংলাদেশে এই প্রথম তৃণমূলের এই স্তরে রাজনৈতিক ভাবে বা দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হলো। প্রথম ধাপে সারাদেশে ৩৬টি জেলায় ৭১২টি ইউনিয়নে ভোট হয়েছে।

সংঘর্ষ, কেন্দ্র দখল এবং ব্যালট ছিনতাইসহ বিভিন্ন অভিযোগের কারণে নির্বাচন কমিশন ৫৬টি কেন্দ্রের ভোট বাতিল করেছে।

দেশে চার হাজারের বেশি ইউনিয়নে পর্যায়ক্রমে জুন মাস পর্যন্ত এই নির্বাচন হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত