সিলেটটুডে ডেস্ক

০১ মে, ২০১৬ ০১:০৮

‘আমি মা-বাবার সম্মতি ছাড়া কাউকে ভালোবাসতে পারব না’

‘তোমার মতো আমি মিথ্যাবাদী হতে পারব না। আমি ওদের (মা-বাবা) অজ্ঞাতে অথবা সম্মতি ছাড়া কাউকে ভালোবাসতে পারব না।’

আমেরিকায় বাংলাদেশি দম্পতি খুন হওয়ার পর তদন্ত কর্মকর্তারা ওই বাড়ির দেয়ালে এই বার্তাটি বার্তা দেখতে পান। আর মরদেহের পাশেই নোটে লেখা ছিলো ‘সরি, মাই ফার্ষ্ট কিল ওয়াজ ক্লামজি।’ দুঃখিত, প্রথম খুনটা ঠিকঠাক করতে পারিনি।

গত ২৪ এপ্রিল ক্যালিফোর্নিয়ার অঙ্গরাজ্যের সান হোসে শহরের নিজ বাড়ি থেকে প্রকৌশলী গোলাম রাব্বি (৫৯) ও তার স্ত্রী হিসাবরক্ষক শামিমা রাব্বির (৫৭) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় নিহত দম্পতির বড় ছেলে হাসিব গোলাম রাব্বি (২২) তার বাবাকে কয়েকটি গুলি করার কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ।

হাসিবের ছোট ভাই ওমর গোলাম রাব্বি (১৭) জানিয়েছে, তার বড় ভাই-ই তার মা-বাবা দুইজনকে হত্যা করেছে।
 
স্যান হোসে শহরের পুলিশ এই হত্যার জন্য অভিযোগ এনেছে নিহত দম্পতির দুই ছেলে হাসিব আর ওমরের বিরুদ্ধে।

কিন্তু কেন নিজের বাবা-মাকে সন্তানরা এভাবে গুলি করে হত্যা করলো, তার মোটিভ এখনো অস্পষ্ট।

পুলিশ বলছে, বড় ছেলে হাসিব গোলাম রাব্বি স্বীকার করেছে, সে তার বাবাকে পর পর কয়েকটি গুলি করে।

ছোট ভাই ওমরের ভাষ্য অনুযায়ী, তার বড় ভাই হাসিবই বাবা-মা দুজনকে হত্যা করে।

নিহত রাব্বি দম্পতি বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে স্থায়ী হন বেশ কয়েক দশক আগে। গোলাম রাব্বি ছিলেন প্রকৌশলী। শামীমা রাব্বি একাউন্ট্যান্ট। থাকতেন চার বেডরুমের এক বাড়ীতে। সেখানে বড় করেছেন দুই ছেলেকে। একজনের বয়স বিশের কোঠায়, একজনের সতের।

রাব্বি দম্পতির হত্যাকান্ডের ঘটনা ফলাও করে প্রচারিত হচ্ছে মার্কিন গণমাধ্যমে। স্থানীয় বাংলাদেশিদের হতবাক করেছে এ ঘটনায়।

হত্যার অভিযোগকে দুই ভাইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

জেলখানা থেকে স্যান ফ্রান্সিসকো ক্রনিকলকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে হাসিব রাব্বি বলেছেন, তিনি এই হত্যাকান্ডের আসল কাহিনি প্রকাশ করবেন। কিন্তু এরপর বিস্তারিত আর কিছু বলেননি।

স্যান হোসের একজন পুলিশ কর্মকর্তা প্যাট্রিক গুরি বার্তা সংস্থা এপিকে জানিয়েছেন, ঐ বাড়ির দেয়ালে তারা কিছু লেখা দেখেছেন, যার সঙ্গে ওমর গোলাম রাব্বির হাতের লেখার মিল রয়েছে।

উল্লেখ্য, গোলাম রাব্বি বাংলাদেশের বগুড়া জেলার বাসিন্দা। ১৯৭৬ সালে তিনি যুক্তরাষ্ট্র চলে যান। নয় বোন ও দুই ভাইয়ের মধ্যে পঞ্চম গোলাম রাব্বি। তার তিন বোন মারা গেছে। বাকি চার বোনই যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা। একমাত্র ভাই বাংলাদেশে বসবাস করছেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত