জাকির আজিজ

১১ জুন, ২০১৬ ২০:০৪

সাঁড়াশি অভিযানে দুই দিনে গ্রেপ্তার ৩১৯২, জঙ্গি মাত্র ৩৭ জন!

সাম্প্রতিক সময়ে একের পর এক গুপ্তহত্যা ঘটিয়ে আতংক সৃষ্টি করায় বৃহস্পতিবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে দেশজুড়ে সপ্তাহব্যাপী জঙ্গি বিরোধী অভিযান শুরু করে পুলিশ।  সারা দেশ থেকে প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে ২৪ ঘন্টায়  সাঁড়াশি অভিযানে সারা দেশে গ্রেপ্তার হয়েছে ৩ হাজার ১৯২ জন। তাদের মধ্যে জঙ্গি সন্দেহে গ্রেপ্তার হয়েছে মাত্র ৩৭ জন। বাকি ৩ হাজার ১৫৫ জনকে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

শনিবার (১১ জুন) সকাল ৮টা পর্যন্ত এ ৩৭ জঙ্গিকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সদর দফতরের জনসংযোগ কর্মকর্তা কামরুল আহছান। তবে শনিবার সকাল পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে তিন সহস্রাধীক সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তারের খবর পাওয়া গেছে।

জঙ্গি সন্দেহে গ্রেপ্তার ৩৭ জনের মধ্যে ২৭ জন জেএমবি, জাগ্রত মুসলিম জনতা বাংলাদেশের ৭ জন রয়েছেন। বাকি তিনজনের পরিচয় সম্পর্কে জানায়নি পুলিশ সদর দপ্তর।

জেএমবি সদস্যদের মধ্যে গাইবান্ধায়, নড়াইলে, গাজীপুরে, ময়মনসিংহে , শেরপুরে , সিরাজগঞ্জে একজন করে। রাজশাহী, দিনাজপুর, কুড়িগ্রামে দুজন করে। চাঁপাইনবাবগঞ্জে তিনজন,বগুড়ায় ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে ঢাকা জেলা থেকে গ্রেপ্তার হওয়া তিন জঙ্গির সাংগঠনিক পরিচয় জানা যায়নি। এ ছাড়া রাজশাহী থেকে জেএমজেবির সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সাঁড়াশি অভিযান চলাকালে একটি শাটার গান, ৫০০ গ্রাম গানপাউডার, ১৫টি ককটেল, ২১টি জিহাদি বই ও ১৫টি ব্যক্তিগত ডায়েরি উদ্ধার করে পুলিশ।

গ্রেপ্তার হওয়া আসামিদের মধ্যে গ্রেপ্তারি পরোয়ানায় ১ হাজার ৮৬১ জন, নিয়মিত মামলায় ৯১৭ জন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার মামলায় ১৯ জন ও মাদক উদ্ধার মামলায় ৩৫৮ জন রয়েছেন।

জঙ্গিদের বাইরে অন্য মামলার আসামীদের গ্রেপ্তার বিষয়ে  পুলিশের সহকারী মহাপরিদর্শক মো. মনিরুজ্জামান জানান, "পুলিশ একটি বড় অভিযান চালাচ্ছে। এখানে ফোর্সও বেশি থাকে। ফলে বিভিন্ন মামলার আসামিরাও এই অভিযানের সময় ধরা হয়েছে।"

এদিকে ঢালাওভাবে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানিয়েছে বিএনপি। বিএনপির মহাসচীব মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেছেন, "জঙ্গি বিরোধী বলা হলেও মূলত বিরোধী দল দমনেই  এই অভিযান"। বিএনপির পক্ষ থেকে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "আসছে ঈদের জন্য পুলিশকে বোনাস উপহার দিতেই এই অভিযান নাটক চালাচ্ছে সরকার"।


আপনার মন্তব্য

আলোচিত