সিলেটটুডে ডেস্ক

৩১ জুলাই, ২০১৬ ১২:৫৭

বিশ্বের অষ্টম ‘সুখী ও সবুজ দেশ’ বাংলাদেশ

বিশ্বের ১৪০টি দেশের মধ্যে পরিবেশবান্ধব ও সুখী দেশের মাপকাটিতে অষ্টম স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। আর দক্ষিণ এশিয়ান দেশগুলোর মধ্যে প্রথম স্থানেই অবস্থান বাংলাদেশের।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংগঠন নিউ ইকোনমিকস ফাউন্ডেশনের করা জরিপে এমনটি জানা গেছে। এই সংস্থার গবেষণা অনুযায়ী পরিবেশকে সবচেয়ে কম বদলে দেয়ার তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে থাকায় সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের এই অবস্থান দাঁড়িয়েছে।

‘হ্যাপি প্ল্যানেট ইনডেক্স ২০১৬’ শিরোনামে শুক্রবার প্রকাশিত তাদের র‍্যাটিংয়ে বাংলাদেশের স্কোর ৩৮ দশমিক ৪।

তালিকায় সবচেয়ে ভালো অবস্থানে থাকা কোস্টা রিকার স্কোর ৪৪ দশমিক ৭। আর ১২ দশমিক ৮ স্কোর নিয়ে তালিকার সবচেয়ে নিচে, অর্থাৎ ১৪০তম অবস্থানে রয়েছে শাদ।   

নিউ ইকোনমিকস ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, একটি দেশের নাগরিকদের সন্তুষ্টি, গড় আয়ু, পরিবেশের ওপর প্রভাব ও বৈষম্য- এই চার মানদণ্ড বিবেচনায় নিয়ে সুখী দেশের এই তালিকা তারা তৈরি করেছে।  

বাংলাদেশ ছাড়া প্রথম ১০ দেশের তালিকায় নেই দক্ষিণ এশিয়ার কোন দেশ। বাংলাদেশের ঠিক পরে নবম স্থানে আছে এশিয়ার দেশ থাইল্যান্ড। এই তালিকায় ১০৮ নম্বরে আছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাজ্য ৩৪তম, জার্মানি ৪৯তম, জাপান ৫৮তম, চীন ৭২তম, অস্ট্রেলিয়া ১০৫তম ও যুক্তরাষ্ট্র ১০৮তম অবস্থানে রয়েছে।


দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশই সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে।

শ্রীলঙ্কা এই তালিকার ২৮তম, পাকিস্তান ৩৬তম, নেপাল ৪২তম, ভারত ৫০তম, ভুটান ৫৬তম ও মিয়ানমার ৮১তম অবস্থানে রয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২৫ বছরে বাংলাদেশ মানব উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখিয়েছে। ২০১৪ সালে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে কর্মসংস্থানের দিক থেকে বিশ্বের শীর্ষ ১০টি দেশের মধ্যে ছিল বাংলাদেশ।

‘হ্যাপি প্ল্যানেট ইনডেক্স’ বলছে, কাছাকাছি মাথাপিছু আয়ের দেশগুলোর তুলনায় সন্তুষ্টি ও গড় আয়ুর সূচকে বাংলাদেশ অনেকটা পিছিয়ে আছে।

গড় আয়ুর দিক দিয়ে ১৪০ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৮১তম। আর নাগরিকদের ভালো থাকার অনুভূতি বা সন্তুষ্টির বিচারে বাংলাদেশের অবস্থান ৯৫তম।  

অন্যদিকে বিশ্বে যেসব দেশের মানুষ পরিবেশকে সবচেয়ে কম বদলে দিচ্ছে,তাদের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়। মূলত এ বিষয়টিই বাংলাদেশকে বিশ্বের  ‘অষ্টম সুখী ও সবুজ দেশ’ হওয়ার পেছনে মূল ভূমিকা রেখেছে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।      

‘সূখী দেশের’ এই তালিকায় ধনী দেশগুলো তুলনামূলকভাবে দুর্বল অনেক দেশের সঙ্গে সেভাবে প্রতিযোগিতায় আসতে পারেনি।


আপনার মন্তব্য

আলোচিত