সিলেটটুডে ডেস্ক

৩১ জুলাই, ২০১৬ ১৪:৩৯

আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন

১৯৪৭ সালে বিছিন্ন হয়ে যাওয়া আগরতলা-আখাউড়া রেলপথের সংযোগ ৬৯ বছর পর ফের চালু হচ্ছে।

রোববার (৩১ জুলাই) দুপুর ১২টায় আগরতলায় ভারতের কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভাকর প্রভু ও বাংলাদেশের রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক যৌথভাবে এই ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন। এই অনুষ্ঠানে রেলমন্ত্রীর সাথে আরও আছেন রেল-সচিব ফিরোজ সালাহ উদ্দিন, রেলওয়ের মহাপরিচালক আমজাদ হোসেন, রেলমন্ত্রীর পিএস ও এপিএস।

এই সংযোগ পথে ১৫ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে এক হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ৫ কিলোমিটার ভারতের অংশে এবং ১০ কিলোমিটার বাংলাদেশের অংশে। ইতোমধ্যে ভারতের অংশের জমি অধিগ্রহণ শেষে প্রকল্পের নির্মাণপকাজ শুরু করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ অংশে ১০ কিলোমিটার নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪০০ কোটি রুপি (৪৭৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা)। এ ব্যয়ের মধ্যে ৪২০ কোটি ৭৫ লাখ টাকা অনুদান পাওয়া যাবে ভারত সরকার থেকে। ভারতের ৫ কিলোমিটার অংশের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৮০ কোটি রুপি। ইতোমধ্যে প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে। যাচাই-বাছাইয়ের পর চূড়ান্ত অনুমোদন পেলে আগামী ২০১৭ সালে কাজ শুরু হয়ে ২০১৯ সালের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করা যাবে।

বাংলাদেশ অংশের জমি অধিগ্রহণ, পুনর্বাসন ও অন্যান্য রাজস্ব খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৭ কোটি ৫ লাখ টাকা। আর ১০ কিলোমিটার ডুয়েল গেজ রেলপথ নির্মাণে ৪২০ কোটি ৭৬ লাখ টাকা, যা অনুদান হিসেবে দেবে ভারত।

দুই দেশের এ রেল সংযোগ হবে একই সঙ্গে মিটার ও ব্রডগেজে। বাংলাদেশের দিকে প্রথম স্টেশন হবে গঙ্গাসাগর। গঙ্গাসাগর থেকে আখাউড়ার মধ্যে বর্তমান স্টেশনের পাশ দিয়ে তৈরি হবে নতুন রেললাইন। আগরতলা রেলওয়ে স্টেশন থেকে বের হয়ে নিশ্চিন্তপুর সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করবে এ রেলপথ।

আখাউড়া-আগরতলা রেল প্রকল্পের বাংলাদেশের দিকে ১০ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণে জমি অধিগ্রহণসহ যাবতীয় অর্থ সরবরাহ করবে ভারতের (বিদেশ মন্ত্রক) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ভারতের ত্রিপুরার আগরতলার অভ্যন্তরে জমি অধিগ্রহণসহ ৫ কিলোমিটার লাইন নির্মাণে অর্থ দেবে ভারতের ডোনার মন্ত্রণালয়। সব মিলিয়ে আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন নির্মাণে অর্থাৎ এ প্রকল্পের ব্যয় বরাদ্দ ধরা হয়েছে এক হাজার কোটি টাকার বেশি। দুই দেশের জমি অধিগ্রহণ, রেললাইন নির্মাণ, আগরতলার উড়াল লাইনের নিচে ডাবল লেন সড়কসহ যাবতীয় কাজের জন্য এ অর্থ ব্যয় করা হবে বলে রেলওয়ে সূত্র জানায়।

রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আমজাদ হোসেন বলেছেন, ‘আমরা আখাউড়া-আগরতলার ত্রিপুরার রেলপথ নির্মাণে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে যাচ্ছি। এখন আর অনিশ্চয়তা নেই। অর্থের যোগান হয়ে গেছে।  ৪০০ কোটি রুপি অনুদানের বিষয়টি এরই মধ্যে ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এখন আর নতুন এই রেলপথ নির্মাণে কোনো সমস্যা নেই।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত