সিলেটটুডে ডেস্ক

০৪ জানুয়ারি, ২০১৭ ০১:১৪

জাহাঙ্গীরের কম্পিউটারে এডিট হয় নাসিরনগরের সেই ছবি

রসরাজের মোবাইল কিংবা মেমোরি কার্ড থেকে আপলোড হয়নি

নাসিরনগরের ঘটনায় রসরাজের মোবাইল কিংবা মেমোরি কার্ড থেকে ধর্মীয় অবমাননাকর ছবিটি আপলোড হয়নি। ওই ছবি এডিট হয়েছিল জাহাঙ্গীর আলমের কম্পিউটার থেকে। তবে সেটি তার কম্পিউটার থেকে পোস্ট হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) দুটি তদন্ত প্রতিবেদন এমন তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদন দুটি পিবিআই জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কাছে পাঠিয়েছে।

সোমবার জেলা গোয়েন্দা পুলিশ রসরাজের তদন্ত প্রতিবেদন ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে জমা দিয়েছে। তবে জাহাঙ্গীরের তদন্ত প্রতিবেদন এখনো আদালতে জমা দেয়া হয়নি।

পিবিআইর দুটি তদন্ত প্রতিবেদন প্রসঙ্গে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মফিজ উদ্দিন ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (এসআই) মিজানুর রহমান বলেন, রসরাজের মোবাইল ফোন ও মেমোরি কার্ড জব্দ করে পরীক্ষার জন্য আলামত ও নমুনা ছবি গত ১৬ ডিসেম্বর পিবিআইয়ের সাইবার ক্রাইম ইউনিটের পুলিশ পরিদর্শকের কাছে পাঠানো হয়েছিল। পিবিআইয়ের সাইবার ক্রাইম ইউনিট সেই প্রতিবেদন জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কাছে পাঠিয়েছে।

তারা জানান, জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ওই প্রতিবেদন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে জমা দেন। গৃহীত আলামত ও প্রেরিত ছবিটির (রসরাজের ফেসবুক থেকে পোস্ট হওয়া ছবি) কোনো অস্তিত্ব রসরাজের মোবাইল ফোন কিংবা মেমোরি কার্ডে পাওয়া যায়নি বলে পিবিআইয়ের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

এই দুই কর্মকর্তা আরো বলেন, জাহাঙ্গীরের কম্পিউটারে ছবিটি এডিট করা হয় এবং কিছুক্ষণ সংরক্ষণের পর তা ডিলিট করা হয় বলে অপর তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়। তবে ছবিটি তার কম্পিউটার থেকে পোস্ট হয়েছে কি না তা নিশ্চিত নয়।

প্রসঙ্গত, রসরাজ দাসের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন থেকে ধর্মীয় অবমাননাকর সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করা হয়নি নিশ্চিত করে গত ২৮ নভেম্বর পিবিআইয়ের ফরেনসিক বিভাগ জেলা পুলিশের কাছে প্রতিবেদন দেয়।

ঘটনার শুরু থেকেই অভিযোগ ওঠে, জাহাঙ্গীর আলম তার আল আমিন সাইবার পয়েন্ট অ্যান্ড স্টুডিও থেকে ধর্মীয় অবমাননাকর ছবিটি প্রিন্ট করে লিফলেট আকারে এলাকায় বিতরণ করেন। জাহাঙ্গীর আলম ১৬৪ ধারার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বিষয়টি স্বীকারও করেছেন।

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার অভিযোগকে কেন্দ্র করে গত ৩০ অক্টোবর নাসিরনগরে মন্দির ও হিন্দুদের বেশ কয়েকটি বাড়িঘরে হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। পরে আরো কয়েক দফায় হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আটটি মামলায় ১০৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত