সিলেটটুডে ডেস্ক

১৪ জানুয়ারি, ২০১৭ ১৪:৪৬

২২ হত্যায় জড়িত ছিলেন ‘রাজীব গান্ধী’

ডিএমপির সংবাদ সম্মেলন

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম (সিটি) ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেছেন, জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধী ওরফে সুভাষ ওরফে শান্ত ওরফে টাইগার ওরফে আদিল ওরফে জাহিদ ২২টি হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।

শনিবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।

মনিরুল বলেন, নারায়ণগঞ্জে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে নিহত ‘নব্য জেএমবি’র প্রধান তামিম আহমেদ চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ সহযোগী রাজীব গান্ধী। তিনি নব্য জেএমবির উত্তরবঙ্গের সামরিক কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।

তিনি বলেন, সম্প্রতি উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় হিন্দু পুরোহিত, খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী ও বিদেশি হত্যা, শিয়া মসজিদে হামলাসহ ২২টি হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে নেতৃত্ব দিয়েছেন 'রাজীব গান্ধী'। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে নিহত তামিম চৌধুরী ও বন্দুকযুদ্ধে নিহত নুরুল ইসলাম মারজানের সঙ্গে রাজধানীর গুলশানে স্প্যানিশ রেস্তোরাঁ হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার পরিকল্পনায় সরাসরি জড়িত ছিলেন তিনি। এ ছাড়া কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় ঈদ জামাতে হামলায় জড়িত শফিউল ইসলাম ওরফে ডনকে হামলার জন্য প্রস্তুত করে তামিম চৌধুরীর কাছে পাঠিয়েছিলেন তিনি।

মনিরুল আরও জানান, রাজীব গান্ধীর বর্ণনা অনুযায়ী, ২২টি হত্যার মধ্যে অন্যতম হলো রংপুরে জাপানি নাগরিক হোশি কুনিও হত্যা, টাঙ্গাইলের দর্জি নিখিল হত্যা, পাবনার পুরোহিত নিত্যরঞ্জন পাণ্ডে হত্যা, রংপুরে মাজারের খাদেম রহমত আলী হত্যা, দিনাজপুরে হোমিও চিকিৎসক ধীরেন্দ্রনাথ হত্যা ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রেজাউল করিম হত্যা।

রাজীব গান্ধীর দেওয়া তথ্যগুলো যাচাই-বাছাই করে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

উল্লেখ্য, শুক্রবার রাতে টাঙ্গাইল থেকে জাহাঙ্গীরকে গ্রেপ্তার করে সিটি ইউনিট। আজ শনিবার ডিএমপির পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক খুদেবার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত