সিলেটটুডে ডেস্ক

১৫ জানুয়ারি, ২০১৭ ০১:৫৬

‘বড় হুজুর’-এর মাধ্যমে নব্য জেএমবিতে যোগ দেয় রাজীব গান্ধী

উত্তরবঙ্গের ‘বড় হুজুর’ মাওলানা আবুল কাশেমের মাধ্যমে নব্য জেএমবিতে যোগ দেয় জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধি। ২০১৪ সালের শেষের দিকে ওই বড় হুজুর তাকে নব্য জেএমবির মাস্টারমাইন্ড তামিমের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল। ওই সময় সে জেএমবির মূলধারার বিচ্ছিন্ন একটি গ্রুপের সঙ্গে চলাফেরা করতো। তার নেতা ছিলো ডা. নজরুল নামে এক ব্যক্তি।

পরে নেতা ডা. নজরুলকে নিজে গলা কেটে হত্যা করে রাজীব গান্ধী। এমনটি জানিয়েছেন গোয়েন্দা কর্মকর্তা। কথিত ওই বড় হুজুর নব্য জেএমবির আধ্যাত্মিক নেতা বলে জানান গোয়েন্দারা।

শুক্রবার রাতে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড থেকে গ্রেফতার করা হয় রাজীব গান্ধীকে। গ্রেফতারের পর সে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের কর্মকর্তাদের এসব তথ্য জানিয়েছে।

সংগঠনের প্রয়োজনে সে সুভাষ, শান্ত, টাইগার, আদিল, জাহিদ প্রভৃতি নামে আত্মগোপন করে জঙ্গি কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। শনিবার তাকে আদালতে সোপর্দ করার পর ৮ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।

কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘রাজীবকে রিমান্ডে নিয়ে তার কাছে বিস্তারিত তথ্য জানার চেষ্টা করা হবে। সে কিভাবে জঙ্গিবাদে জড়িয়েছে, হলি আর্টিজানে হামলার পুরো ঘটনা ও উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন হামলার বিষয়েও তথ্য জানতে চাওয়া হবে।’ তিনি বলেন, ‘গুলশান হামলার ঘটনায় জড়িত রাজীব এমন একজন, যার কাছ থেকে অনেক তথ্য উদ্ঘাটন সম্ভব হবে।’

কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা জানান, পাচক থেকে শীর্ষ জঙ্গি নেতা হয়ে ওঠা রাজীব গান্ধী নব্য জেএমবি সদস্যদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভয়ঙ্কর। জঙ্গিদের ভাষায় সে ছিল পুরো বাংলাদেশের ইসাবা গ্রুপের প্রধান। ইসাবা গ্রুপের সদস্যরা টার্গেটেড লোকজনকে ‘কতল’ করে থাকে। জিজ্ঞাসাবাদে রাজীব জানিয়েছে, রংপুরের ওসি কুনিও, পঞ্চগড়ের পুরোহিত যোগেশ্বর, দিনাজপুরে হোমিও চিকিৎসকসহ অন্তত ২২টি হত্যা ও হত্যাচেষ্টার ঘটনার সঙ্গে সে জড়িত।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত