নিজস্ব প্রতিবেদক

১৬ জানুয়ারি, ২০১৭ ১০:১৮

৭ খুন মামলায় ২৬ জনের ফাঁসির রায়

নারায়ণগঞ্জে সাত খুন মামলার প্রধান আসামি নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর নূর হোসেন ও র‌্যাব-১১ এর তৎকালীন অধিনায়ক সাবেক সেনা কর্মকর্তা তারেক সাঈদসহ ২৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

সোমবার সকাল ১০টায় নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সৈয়দ এনায়েত হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে বাকি ৯ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন আদালত।

যে ২৬ জনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার নির্দেশ আদালত দিয়েছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন র‌্যাব-১১’র সাবেক অধিনায়ক লে. কর্নেল (অব.) তারেক সাঈদ মুহাম্মদ, মেজর (অব.) আরিফ হোসেন ও লে. কমান্ডার (অব.) মাসুদ রানা। আরও ১৪ জনকে ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়েছে, যারা র‌্যাবের বরখাস্তকৃত কর্মকর্তা ও সদস্য। তারা হচ্ছেন- এসআই পূর্ণেন্দু বালা, হাবিলদার এমদাদুল হক, কনস্টেবল শিহাব উদ্দিন, আরওজি-১ আরিফ হোসেন, ল্যান্সনায়েক হীরা মিয়া, বেলাল হোসেন, কর্পোরাল মোখলেসুর রহমান, ল্যান্স কর্পোরাল রুহুল আমিন, সিপাহী আবু তৈয়্যব, সিপাহী আসাদুজ্জামান নূর, সৈনিক মহিউদ্দিন মুন্সী, সৈনিক আলামিন শরীফ, সৈনিক তাজুল ইসলাম, সার্জেন্ট এনামুল কবির।

মৃত্যুদণ্ডাদেশ পেয়েছেন নূর হোসেনের ৯ সহযোগী ভারতে গ্রেফতারকৃত সেলিম, সানাউল্লাহ সানা, শাহজাহান, জামাল উদ্দিন, মোর্তুজা জামান চার্চিল, আলী মোহাম্মদ, মিজানুর রহমান দীপু, রহম আলী ও আবুল বাশার।

বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড পাওয়া ৯ জনও র‌্যাবের বরখাস্তকৃত কর্মকর্তা ও সদস্য। তাদের মধ্যে কনস্টেবল হাবিবুর রহমানকে ১৭ বছর, এএসআই আবুল কালাম আজাদ, এএসআই কামাল হোসেন, কনস্টেবল বাবুল হাসান, সৈনিক আবদুল আলী, সৈনিক রুহুল আমিন ও সিপাহী নুরুজ্জামান ১০ বছর এবং এএসআই বজলুর রহমান ও হাবিলদার নাসির উদ্দিনকে ৭ বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।

দণ্ডপ্রাপ্ত ৩৫ জন আসামির মধ্যে নূর হোসেনসহ ২৩ জন আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে রায় শোনেন। বাকি ১২ আসামি পলাতক রয়েছেন।

আদেশের পর বাদীপক্ষের আইনজীবী সাখাওয়াত হোসেন খান জানান, আদালত সংক্ষিপ্ত রায়ে নূর হোসেন ও তারেক সাঈদসহ ২৬ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড এবং বাকি ৯ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন।

২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিঙ্ক রোড থেকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ওই সময়ের প্যানেল মেয়র ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম ও নারায়ণগঞ্জ আদালতের সিনিয়র আইনজীবী চন্দন কুমার সরকারসহ সাতজনকে দুটি প্রাইভেটকার থেকে অপহরণ করা হয়। অপহরণের তিন দিন পর শীতলক্ষ্যা থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ছয়জনের এবং এর একদিন পর আরেকজনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

ওই ঘটনায় নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি একটি এবং সিনিয়র আইনজীবী চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল আরেকটি মামলা করেন। প্রায় এক বছর তদন্ত শেষে ৩৫ জনকে আসামি করে ২০১৫ সালের ৮ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত