সিলেটটুডে ডেস্ক

২৮ মে, ২০১৭ ২০:৫৪

ক্ষমা চাইলেন ১১ মাসের শিশুর বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়া সেই পুলিশ কর্মকর্তা

রাজধানীর মিরপুরে ১১ মাসের শিশু এবং মৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করার ঘটনায় আদালতে ভুল স্বীকার করে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন মামলার সেই তদন্ত কর্মকর্তা।

রোববার (২৮ মে) ঢাকা মহানগর হাকিম খুরশীদ আলমের আদালতে স্বশরীরে হাজির হয়ে শিশু ও মৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়ার ব্যাখ্যা লিখিত আকারে দাখিল করে ক্ষমা চান ওই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মারুফুল ইসলাম।

সংশ্লিষ্ট আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা আলতাফ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, আদালতের নির্দেশে তদন্ত কর্মকর্তা লিখিত আকারে ব্যাখ্যা দিয়েছেন। আগামী ৩০ মে বাদীর ব্যাখ্যার জন্য দিন ধার্য রয়েছে। দু’জনের ব্যাখ্যা পাওয়ার পর আদালত একটি আদেশ দেবেন বলে তিনি জানান।

লিখিত বক্তব্যে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মারুফুল ইসলাম আদালতে বলেন, মামলাটি দায়েরের পর তদন্তভার গ্রহণ করে দেখা যায়, মামলার বাদী ২৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলা দায়েরের পর জাকির হোসেন এবং সোহেল রানা নামে দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়। অপর আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত থাকে। আরিফুর রহমান, রুবেল ও মামুনুর রশীদ ব্যতীত সকল আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করে।

এসআই মারুফুল ইসলাম বলেন, এজাহারনামীয় যে সকল আসামির বাড়ি অন্য থানায় তাদের ঠিকানা যাচাইয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় অনুসন্ধান স্লিপ পাঠিয়ে নাম-ঠিকানা যাচাই-বাছাই করা হয়। সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি মামলাটির অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

তিনি বলেন, প্রশিক্ষণ শেষ করে চাকরিতে মাত্র কর্মজীবন শুরু করেছি। অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য ক্ষমা করে চাকরিতে বহাল থাকার সুযোগ দিতে আদালতের প্রতি অনুরোধ জানাই। সুযোগ দিলে মেধা, দক্ষতা ও পরিশ্রমকে কাজে লাগিয়ে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও জনগণের সেবা করতে গতিশীল ও সোচ্চার হবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

চলতি বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি মিরপুর থানার উপপরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মারুফুল ইসলাম ওই শিশু ও আরিফুর রহমান নামের এক মৃত ব্যক্তিসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এর পর আসামিপক্ষের আইনজীবী শফিকুল ইসলাম মামলার আইও ও বাদীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা চেয়ে আদালতে একটি আবেদন করেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত