সিলেটটুডে ডেস্ক

২৯ মে, ২০১৭ ১৩:৪৪

আপন জুয়েলার্সে গচ্ছিত স্বর্ণালঙ্কার ফেরত পাচ্ছেন গ্রাহকরা

আপন জুয়েলার্সের জব্দ করা সাড়ে ১৩ মণ স্বর্ণের মধ্যে গ্রাহকদের গচ্ছিত স্বর্ণালঙ্কার ফেরত দিচ্ছে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর।

সোমবার (২৯ মে) সকাল ১০ টা থেকে স্বর্ণ ফেরত দেওয়া শুরু হয়। শুল্ক গোয়েন্দার উপপরিচালক সাইফুর রহমানের নেতৃত্বে পাঁচটি দল আপন জুয়েলার্সের পাঁচটি বিক্রয়কেন্দ্রে এ গ্রাহকদের স্বর্ণ ফেরত দেয়া শুরু করে।

সোমবার আপন জুয়েলার্সের মৌচাক, গুলশান সুবাস্তু টাওয়ার, গুলশান ডিসিসি মার্কেটে, উত্তরায়, ধানমন্ডির সীমান্ত স্কয়ার শাখায় এ স্বর্ণালঙ্কার ফেরত দেওয়া শুরু হয়।

শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তরের উপপরিচালক সাইফুর রহমান জানান, ‘আপন জুয়েলার্সের সংশ্লিষ্ট শাখায় যেসব গ্রাহক স্বর্ণালঙ্কার মেরামত করতে দিয়েছিলেন কেবল তাদেরগুলো ফেরত দেওয়া হচ্ছে। এ স্বর্ণ আপন জুয়েলার্স ফেরত দিচ্ছে। আমরা শুধু তাদের সহায়তা করছি। পর্যবেক্ষণ করছি।’

সাইফুর রহমান আরো বলেন, ‘আগামীকাল আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদ সেলিমকে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তরে শুনানির জন্য হাজির হতে বলা হয়েছে। তার শুনানির পর স্বর্ণ কেনার জন্য আপন জুয়েলার্সের সংশ্লিষ্ট শাখায় যে সকল গ্রাহক টাকা জমা দিয়েছিলেন তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’

২৫ মে আপন জুয়েলার্সের পক্ষ থেকে এ পর্যন্ত ১৮২ জনের প্রায় সাড়ে তিন কেজি ফেরতযোগ্য অক্ষত স্বর্ণালঙ্কারের হিসাব দেয়া হয়েছে। ওই সময়ে গ্রাহকদের স্বর্ণালঙ্কারের মালিকানার রশিদ ও ব্যক্তিগত আইডি, জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্টসহ গ্রাহকদের উপস্থিত থাকার জন্য বলা হয়।

গত ১৪ ও ১৫ মে আপন জুয়েলার্সের ছয়টি বিক্রয়কেন্দ্রে অভিযান চালায় শুল্ক গোয়েন্দারা। জব্দ করা হয় প্রায় সাড়ে ১৩ মণ স্বর্ণ ও ৪২৭ গ্রাম হীরা। এখন পর্যন্ত মালিকপক্ষ এসবের কোনো বৈধ কাগজ দেখাতে পারেননি।

১৭ মে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তরে হাজির হয়ে আপনের মালিকপক্ষ দাবি করে, এসব স্বর্ণের সব কাজগপত্র তাদের আছে। আর এসব কাগজপত্র দেখাতে গত ২৩ ও ২৫ মে তলব করা হয় মালিক দিলদার আহমেদকে। কিন্তু তিনি হাজির হননি। এই অবস্থায় তাকে আরও সময় দিয়ে ৩০ মে হাজির হতে নির্দেশ দেয়া হয়।

জব্দ করা এসব অলঙ্কারের মধ্যে গ্রাহকদের জমা দেয়া কিছু অলঙ্কার রয়েছে-এমন তথ্য পাওয়ার পর তাদেরকে স্বর্ণ ফেরত দেয়ার উদ্যোগ নেয় শুল্ক গোয়েন্দা কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সংস্থাটিকে আপন তালিকা দিয়ে সহযোগিতা করেনি। এ কারণে গ্রাহকদের স্বর্ণ ফেরত দেয়ার দুটি তারিখ পেছাতে হয়েছে তাদেরকে।

আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে সাফাতের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর এই অভিযান চালায় শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত