সিলেটটুডে ডেস্ক

৩০ মে, ২০১৭ ১৪:২০

ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ কেড়ে নিয়েছে ৩ প্রাণ

ঘূর্ণিঝড় 'মোরা'য় কক্সবাজারে প্রাণ হারিয়েছেন তিনজন। এর মধ্যে দু'জন গাছ চাপায় এবং একজন আতঙ্কে মারা গেছেন।

মঙ্গলবার (৩০ মে) সকালে ঘূর্ণিঝড় চলাকালে এসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।

গাছ চাপা পড়ে নিহত দুজন হলেন জেলার চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারার পূর্ব ডোমখালীর রহমত উল্লাহ (৫০) এবং একই উপজেলার পূর্ব বড়হেউলা ইউনিয়নের সিকদারপাড়ার সায়েরা খাতুন (৬০)। আর আশ্রয়কেন্দ্রে আতঙ্কে মারা গেছেন কক্সবাজার পৌরসভার নুনিয়াচটা এলাকার মরিয়ম বেগম (৫৫)।

ঘূর্ণিঝড় মোরা মঙ্গলবার সকাল ৬টার দিক থেকে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করে। সকাল সাড়ে সাতটার দিকে এটি কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করে চট্টগ্রামের দিকে অগ্রসর হয়।

দুপুরের দিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক শামছুদ্দীন আহমেদ জানান, ক্রমেই দুর্বল হয়ে পড়ছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় 'মোরা'। বৃষ্টি ঝরিয়ে এটি ধীরে ধীরে নিম্নচাপে পরিণত হবে। তবে আগামী ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত আবহাওয়ার বৈরী আচরণ থাকবে।

তিনি বলেন, মোরার প্রভাবে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, হাতিয়া, কুতুবদিয়া, সন্দ্বীপ, ভোলা, চাঁদপুর, নোয়াখালী, সীতাকুণ্ডসহ অনেক এলাকাজুড়ে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি চলছে। আর এর শক্তি ক্রমেই কমে আসছে। এক পর্যায়ে এটি দুর্বল হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হবে।

আগামী ৬ ঘণ্টা পর্যন্ত মহাবিপদ সংকেত অব্যাহত থাকবে জানিয়ে সামছুদ্দিন আহমেদ বলেন, পরবর্তীতে তা নামিয়ে ৩ নম্বর সর্তক সংকেত দেখাতে বলা হবে। সমুদ্র শান্ত হতে সময় লাগে, তাই এ সময়টুকু নেওয়া হচ্ছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ (১৬ নম্বর) বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৮৯ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া আকারে ১১৭ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর ও কক্সবাজার উপকূলকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত