সিলেটটুডে ডেস্ক

৩১ মে, ২০১৭ ১৩:৫৯

জামিন পেলেন শিক্ষক শ্যামল কান্তি

ঘুষের মামলায় কারাগারে যাওয়ার সপ্তাহখানেকের মাথায় জামিন পেয়েছেন নারায়ণগঞ্জের আলোচিত স্কুলশিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্ত।

বুধবার (৩১ মে) নারায়ণগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেন তার অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেন।  তাকে আগামী ২০ জুলাই পর্যন্ত জামিন দেয়া হয়েছে।

ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুল ওই এলকার সাংসদ সেলিম ওসমানের নিপিড়নের পর শ্যামল কান্তি আলোচনায় আসেন। তদন্তে তার ধর্ম অবমাননার সত্যতা পাওয়া যায়নি।
নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার কল্যাণদীতে পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে গত বছরের ১৩ মে তারই স্কুলে ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগ তুলে শারীরিক নির্যাতন ও কান ধরে উঠ-বস করানোর ঘটনা ঘটে স্থানীয় এমপি সেলিম ওসমানের নির্দেশে।

এরপর ২৭ জুলাই ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত, এক ছাত্রকে মারধর এবং এক শিক্ষককে এমপিওভুক্ত করে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে শ্যামল কান্তির বিরুদ্ধে তিনটি মামলার আবেদন নারায়ণগঞ্জের আদালতে জমা পড়ে।

প্রাথমিক শুনানি করে আদালত প্রথম দুটি মামলার আবেদন খারিজ করে দিলেও ঘুষের অভিযোগের বিষয়টি বন্দর থানা পুলিশকে তদন্ত করতে নির্দেশ দেয়।

এ মামলার বাদী পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজির শিক্ষক মোর্শেদা বেগমের অভিযোগ, চাকরি এমপিওভুক্ত করে দেওয়ার কথা বলে ২০১৪ সালে তার কছে থেকে এক লাখ ৩৫ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েও প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি তা করে দেননি।

তদন্ত শেষে বন্দর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হারুন অর রশিদ গত ১৭ এপ্রিল শ্যামল কান্তির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

২৪ মে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পর শ্যামল কান্তি আদালত প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের বলেন, “যে সময় ঘুষ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে তখন শীতলকালীন বন্ধ ছিল। আমাকে হয়রানি করার জন্যই এ মামলা করা হয়েছে।”

এই মামলাকে ওই ঘটনার প্রেক্ষিতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে আসছিল শ্যামল কান্তি।

পুলিশ আগে থেকেই ‘প্রভাবশালী ওই ব্যক্তির’ পক্ষে কাজ করেছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, “পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদন অন্যরকম হতে পারত। কিন্তু ওই প্রভাবশালী ব্যক্তিকে খুশি করার জন্যই পুলিশ এ ধরনের প্রতিবেদন দাখিল করেছে।”

আপনার মন্তব্য

আলোচিত