সিলেটটুডে ডেস্ক

৩১ মে, ২০১৭ ১৯:১৯

এবার গাজীপুরে ইমরান সরকারের বিরুদ্ধে মামলা

সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে ভাস্কর্য অপসারণ ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগে গণজাগরণ মঞ্চের একাংশের আহ্বায়ক ডা. ইমরান এইচ সরকারসহ তিন জনের বিরুদ্ধে এবার গাজীপুরে মামলা হয়েছে।

বুধবার সকালে গাজীপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এ মামলা করেন গাজীপুর মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক সুমন আহমেদ শান্ত বাবু।

মামলার অপর আসামিরা হলেন- গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী সনাতন উল্লাস ও নাসির উদ্দিন।

এর আগে সকালে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতেও ইমরান এইচ সরকারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়।  ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক গোলাম রাব্বানি বাদী হয়ে এ মামলা করেন। ঢাকা মহনগর হাকিম এস এম মাসুদ জামান অভিযোগ আমলে নিয়ে আগামী ১৬ জুলাই ইমরানকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

গাজীপুর আদালত পরিদর্শক মো. রবিউল ইসলাম জানান, আদালতের বিচারক মো. শহীদুল ইসলাম অভিযোগ আমলে নিয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন। আগামী ২৭ জুলাই সশরীরে তাদের আদালতে হাজির হয়ে আত্মপক্ষ সমর্থনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, সুপ্রীম কোর্টের ভাস্কর্য অপসারণের পর পর প্রগতিশীল শক্তির পক্ষ থেকে প্রতিবাদের ঝড় উঠে। প্রতিবাদ জানায় ‍যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে ২০১৩ সালে গড়ে উঠা আন্দোলন গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীরাও। শুক্রবার তারা রাজধানীর শাহবাগ এলাকায় বিক্ষোভ করে।

ওই মিছিল থেকে প্রধানমন্ত্রীর নামে কটূক্তি করে স্লোগান দেয়া হয় বলে অভিযোগ এনে গত সোমবার রাতে শাহবাগ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় মিছিল করে ছাত্রলীগ। ওই মিছিল থেকে ইমরানকে ‘কুত্তার মত’ পেটানোর স্লোগান দেয়া হয়।

মঙ্গলবার রাতে ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে ইমরান এইচ সরকার ছাত্রলীগের হুমকি নিয়ে কথা বলেন। জানান, এই হুমকিকে তিনি আলাদা গুরুত্ব দিচ্ছেন না। তিনি লেখেন, ‘মোদ্দা কথা হচ্ছে কারো হুমকিতেই আমি ভীত নই। আমার জীবন সবসময়ই হুমকির মুখে- সেই হুমকি উগ্রবাদীদের নামে আসুক কি ছাত্রলীগের নেতার নাম হয়ে আসুক, তাতে হুমকির গুরুত্ব তো আর কমছে না!

ছাত্রলীগ তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এনেছে সেটাকে সত্যের অপলাপ বলে জানান ইমরান। তিনি লেখেন, ‘গণজাগরণ মঞ্চ কোনো নেতানেত্রীর বিরুদ্ধে কোনো বক্তৃতা বিবৃতিতে অশোভন ভাষা ব্যবহার করে না। জাতীয় নেতৃবৃন্দ তো দূরের কথা, কোনো বৈধ রাজনৈতিক দলের আঞ্চলিক অথবা মাঝারি সারির কোনো নেতার সম্পর্কে কথা বলার সময়ও আমরা অসৌজন্যমূলক কিছু বলি না।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত