সিলেটটুডে ডেস্ক

২১ নভেম্বর, ২০১৭ ০০:৪৯

সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ

আজ (২১ নভেম্বর) সশস্ত্র বাহিনী দিবস। প্রতি বছরের মতো এবারও যথাযথ মর্যাদা ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দিবসটি উদ্‌যাপিত হচ্ছে। এ উপলক্ষে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে সশস্ত্র বাহিনী।

দিবসটি উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি ও সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাণী দিয়েছেন বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সমন্বয়ে ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর মুক্তিযুদ্ধের সময় গঠিত হয়েছিল বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসরদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে সাধারণ জণগণের সঙ্গে একাত্ম হয়ে সমন্বিত আক্রমণ করে তারা। এর পর থেকে প্রতি বছর ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।

১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মঙ্গলবার সকালে ঢাকা সেনানিবাসের শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। এর পর সেনাপ্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদ এবং বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল আবু এসরার নিজ নিজ বাহিনীর পক্ষ থেকে শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। তিন বাহিনীপ্রধান বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন মঙ্গলবার।

দিবসটি উপলক্ষে দেশের সব সেনানিবাস, নৌঘাঁটি ও স্থাপনা এবং বিমানবাহিনী ঘাঁটির মসজিদে দেশের কল্যাণ-সমৃদ্ধি ও সশস্ত্র বাহিনীর উন্নতি কামনায় আজ ফজরের নামাজ শেষে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশিত হয়েছে। বেতার ও টেলিভিশনে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সশস্ত্র বাহিনীর পরিচালনাধীন প্রতিষ্ঠানে রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতারও আয়োজন করা হয়েছে।

রাষ্ট্রপতির বাণী : রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তার বাণীতে বলেন, সশস্ত্র বাহিনী জাতির অহঙ্কার। মহান মুক্তিযুদ্ধের ভেতর দিয়ে গড়ে ওঠা এ বাহিনীর সদস্যরা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার মহান দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা এবং বেসামরিক প্রশাসনকে সহযোগিতাসহ জাতি গঠনমূলক কর্মকাণ্ডে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। শুধু দেশেই নয়; জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনেও অংশ নিয়ে পেশাগত দক্ষতা, সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে বহির্বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জল করছেন তারা। সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা নেতৃত্বের প্রতি পূর্ণ অনুগত থেকে কঠোর অনুশীলন, পেশাগত দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা ও দেশপ্রেমের সমন্বয়ে তাদের গৌরব সমুন্নত রাখতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবেন বলে বিশ্বাস করেন রাষ্ট্রপতি।

প্রধানমন্ত্রীর বাণী : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর দেশপ্রেমিক জনতা, মুক্তিবাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী ও বিভিন্ন আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যরা দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে আক্রমণ করেন। সম্মিলিত আক্রমণে ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের মাধ্যমে চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। মুক্তিযুদ্ধে বাঙালি জাতির অগ্রযাত্রা ও বিজয়ের স্মারক হিসেবে প্রতি বছর ২১ নভেম্বর 'সশস্ত্র বাহিনী দিবস' হিসেবে পালন করা হয়। সরকার সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়নে সর্বাত্মক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। তারা দেশপ্রেম, পেশাদারিত্ব ও উন্নত নৈতিকতার আদর্শে স্ব-স্ব দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করবেন বলে প্রত্যাশা করেন প্রধানমন্ত্রী।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত