সিলেটটুডে ডেস্ক

১৮ মার্চ, ২০১৮ ১৩:৫৯

রংপুরে খাদেম হত্যায় ৭ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড

রংপুরের কাউনিয়ায় মাজারের খাদেম ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা রহমত আলী হত্যা মামলায় নব্য জেএমবির আঞ্চলিক কমান্ডার মাসুদ রানাসহ সাত জঙ্গির ফাঁসির রায় দিয়েছেন আদালত।

রোববার (১৮ মার্চ) সকালে রংপুরের বিশেষ জজ আদালতের বিচারক নরেশ চন্দ্র সরকার এই রায় ঘোষণা করেন। রায়ে সাত আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার পাশাপাশি ছয়জনকে মামলা থেকে খালাস দেন আদালত।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন— মাসুদ রানা, লিটন মিয়া, বিজয়, চান্দু, ইসাহাক আলী, সাখাওয়াত হোসেন ও সরোয়ার। এরা সবাই নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবির সদস্য।

খালাস পাওয়া ছয়জন হলেন— সাদাত হোসেন, তৌফিকুল ইসলাম, আবু সাঈদ, রাজীব ওরফে আলমগীর, বাবুল আখতার ও রাজিবুল ইসলাম। এদের মধ্যে রাজিবুল ইসলাম ও বাবুল আখতার পলাতক রয়েছেন।

বিশেষ জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট রথিশ চন্দ্র ভৌমিক জানান, মামলায় ৪৬ সাক্ষী তাদের সাক্ষ্য দিয়েছেন আদালতে। ৪ মার্চ মামলার যুক্তিতর্ক শেষ হয়। রোববার আদালত রায় ঘোষণা করেছেন। রায়ে সাতজনকে মৃত্যুদণ্ড ও ছয়জনকে মামলা থেকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ১০ নভেম্বর রাতে রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নের চৈতার মোড়ের মাজার শরিফের খাদেম রহমত আলীকে (৬০) গলা কেটে হত্যা করে জেএমবি সদস্যরা। তিনি টেপামধুপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি এবং চৈতার বাজারে ওষুধের দোকান করতেন। রাত ১১টার দিকে দোকান বন্ধ করে বাড়ি যাওয়ার পথে চৈতার মোড়ে জেএমবি সদস্যরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও জবাই করে হত্যা করে তাকে।

নিহত রহমত আলী তরিকাপন্থি সুরেশ্বরী পীরের অনুসারী ও মাজারের খাদেম ছিলেন। তার বাড়িতে দরবার শরিফ ছিল। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে কাউনিয়া থানায় একটি মামলা করেন।

মামলায় গত বছরের ৩ জুলাই ১৩ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। এদের মধ্যে জঙ্গি বাইক হাসান ও সাদ্দাম হোসেন পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়। বাকি ১১ জনের মধ্যে ৯ জঙ্গি গ্রেপ্তারের পর থেকে কারাগারেই রয়েছে। এরপর ৪৬ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ ও উভয় পক্ষে আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক শোনার পর রোববার রায় দিলেন আদালত।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত