সিলেটটুডে ডেস্ক

০৫ মে, ২০১৮ ০২:২৭

শনিবার শুরু হচ্ছে দু’দিনের ওআইসি পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলন

শনিবার ঢাকায় শুরু হচ্ছে মুসলিম বিশ্বের জোট ওআইসির দু’দিনব্যাপী ৪৫তম পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন। সাড়ে ৫ শতাধিক অতিথি নিয়ে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

বাংলাদেশের আয়োজনে সাম্প্রতিক সময়ে এটিই সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক ইভেন্ট। এরই মধ্যে অতিথিদের বড় অংশ ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন। বাংলাদেশের পক্ষ থেকেও আয়োজনের সব প্রস্তুতি চূড়ান্ত করা হয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, এ আয়োজনে অন্তত ৪০ জন মন্ত্রী, উপমন্ত্রী ও সহকারী মন্ত্রী পর্যায়ের প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করছেন। নন-ওআইসি কান্ট্রি যেমন কানাডা, কসোভো ও নর্দান সাইপ্রাসের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরাও অংশ নিচ্ছেন সম্মেলনে।

সম্মেলনে রোহিঙ্গা ইস্যু গুরুত্ব পাবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।

এদিকে, সম্মেলন শুরুর আগে শুক্রবার ওআইসি পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করেন।

ওআইসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনের প্রস্তুতির বিষয়ে অবহিত করতে বৃহস্পতিবার ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, রোহিঙ্গা সংকট ঢাকায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে বিশেষভাবে স্থান পাবে। সম্মেলনকালে একটি বিশেষ অধিবেশনে এ বিষয়ে আলোচিত হবে।

এবারের ওআইসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনের প্রতিপাদ্য হলো- টেকসই শান্তি, সংহতি ও উন্নয়নের জন্য ইসলামি মূল্যবোধ।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, এ আয়োজনে ওআইসির সব সদস্য রাষ্ট্র, পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র, ওআইসি প্রতিষ্ঠানগুলো ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানসহ সাড়ে পাঁচশর বেশি প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করবেন। ৪০ জন মন্ত্রী ও সহকারী মন্ত্রী এ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন।

সম্মেলনের আয়োজক দেশ হিসেবে বাংলাদেশ আগামী ১ বছর ‘কাউন্সিল অব ফরেন মিনিস্টার্স’র (সিএফএম) চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবে।

ঢাকায় সিএফএম বৈঠকে যেসব বিষয় গুরুত্ব পাবে সেগুলো হলো- মুসলিম বিশ্বের সংঘাত ও চ্যালেঞ্জগুলো, আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী, বিশ্বব্যাপী মুসলমানরা যে ধরনের মানবিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হচ্ছে কিভাবে সেগুলোর সমাধান করা যায়, বিশ্বব্যাপী যে ইসলামোফোবিয়া তৈরি হয়েছে তা দূরীকরণের উপায় যথা- সভ্যতা ও সংস্কৃতির আন্তঃসংলাপ, মুসলিম উম্মাহর আর্থসামাজিক উন্নয়ন, ওআইসি দেশগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং সাংস্কৃতিক বিষয়সহ বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতার ক্ষেত্র খুঁজে বের করা প্রভৃতি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত