সিলেটটুডে ডেস্ক

০৬ জুলাই, ২০১৮ ২০:৩৯

২০২০-২১ সাল হবে ‘মুজিব বর্ষ’

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উদযাপনে ২০২০ ও ২০২১ সালকে ‘মুজিব বর্ষ’ ঘোষণার কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০২০ সালের ১৭ মার্চ (বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন) থেকে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ (স্বাধীনতা দিবস) পর্যন্ত এ বর্ষ পালন হবে।

শুক্রবার (৬ জুলাই) বিকেলে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের যৌথসভায় সভাপতির সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী ও দলের সভাপতি শেখ হাসিনা এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। তারই দীর্ঘ আন্দোলনের ফসল এ স্বাধীনতা। তার রক্তের ঋণ আমাদের শোধ করতে হবে। এজন্য আমরা বছরব্যাপী ব্যাপক কর্মসূচি দিয়ে বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করবো।

প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী, সরকার ও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ‘মুজিব বর্ষে’ দেশব্যাপী ব্যাপক কর্মসূচি পালন হবে।

জাতির জনকের জন্ম শতবার্ষিকীর কর্মসূচি যেন সরকারিভাবে পালিত হয়, সেজন্য মন্ত্রীপরিষদ সচিবকেও নির্দেশ দেওয়ার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২০-২১ সাল জাতির পিতার জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপন করবো। বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মদিন উদযাপনের জন্য বছরব্যাপী ব্যাপক কর্মসূচি নেওয়া হবে। এ কর্মসূচি ঠিক করতেই আমরা এ বৈঠকে বসেছি। সারাদেশে বিভাগ, জেলা, উপজেলা ও ওয়ার্ড পর্যায় পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালিত হবে। সরকারিভাবেও আমরা কর্মসূচি পালন করবো। ইতোমধ্যে আমি মন্ত্রীপরিষদ সচিবের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলেছি। ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ পর্যন্ত এই বছরকে আমরা ‘মুজিব বর্ষ’ হিসেবে পালন করবো। ২০২১ সালের ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করবো। সেই পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর শতবার্ষিকী পালনের কর্মসূচি পালিত হবে।

তিনি আরও বলেন, এ সময়ের মধ্যে স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, মহান ২১শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, ঐতিহাসিক ৭ মার্চ, ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু জন্মদিন, ৭ জুন ৬ দফা দিবস, ২৩ জুন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী, ১৫ আগস্ট, ৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবসের কর্মসূচির সঙ্গে সমন্বয় করে জাতির পিতার জন্ম দিবসের কর্মসূচি পালিত হবে।

বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মবার্ষিকী পালনের কর্মসূচিতে স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রী, জেলে-কামার-কুমার-তাঁতি, শ্রমিক-চাকরিজীবী-পেশাজীবী-কর্মচারী, শিশু-কিশোরসহ সব শ্রেণী-পেশার মানুষকে সম্পৃক্ত করা হবে। স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন পর্যায়ে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, চিত্রাঙ্কন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন কর্মসূচিও থাকবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।

১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম নেন শেখ মুজিবুর রহমান। কালক্রমে তার হাত ধরেই ১৯৭১ সালে বিশ্ব মানচিত্রে নতুন দেশ হিসেবে স্থান করে নেয় বাংলাদেশ।

আসছে ২০২০ সালে বঙ্গবন্ধুর জন্মের শত বছর পূর্ণ হবে। আর ঠিক পরের বছর ২৬ মার্চ বাংলাদেশ উদযাপন করবে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত