সিলেটটুডে ডেস্ক

০৯ ফেব্রুয়ারি , ২০২০ ০০:৫৫

কিডনি রোগে বছরে মৃত্যু ৪০ হাজার

বাংলাদেশে বাড়ছে কিডনি রোগীর সংখ্যা বাড়ছে এই তথ্য জানিয়ে এই রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতি বছর ৪০ হাজার রোগীর মৃত্যু হচ্ছে বলে চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন।

শনিবার কোরিয়ান সোসাইটি ফর ট্রান্স প্ল্যান্টেশন এবং বাংলাদেশ রেনাল অ্যাসোসিয়েশনের সহযোগিতায় ‘মরণোত্তর অঙ্গ দান ও সংযোজন’ বিষয়ক এ আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। কিডনি ফাউন্ডেশন, সোসাইটি অব অর্গান ট্রান্স প্ল্যান্টেশন বাংলাদেশ এবং কোরিয়া ইউনিভার্সিটি আনাম হসপিটালের যৌথভাবে এ সম্মেলনের আয়োজন করে।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, ১৯৮২ সাল থেকে দেশে কিডনি সংযোজন ও ডায়ালাইসিস সেবা চালু রয়েছে। এখানে শতভাগ কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট হয় জীবিত নিকটাত্মীয়ের দেহ থেকে কিডনি বিযুক্ত করে। অঙ্গদাতা বা ডোনার সংকটের কারণে প্রতিবছর মারা যাচ্ছে ৪০ হাজার কিডনি বিকল রোগী। এর মধ্যে ২০ ভাগ কিডনি রোগের চিকিৎসা পেলেও বাকি ৮০ ভাগ চিকিৎসা সেবার বাইরেই থেকে যাচ্ছে। এ ছাড়া কয়েক হাজার মানুষ লিভার, হার্ট, ফুসফুস, অগ্ন্যাশয় ইত্যাদি বিকল হয়ে অকালে মারা যাচ্ছে। অথচ উন্নত বিশ্বে ৬০-৭০ ভাগের বেশি কিডনি বিকল মানুষ মরণোত্তর অঙ্গদান প্রক্রিয়ায় চিকিৎসা নিয়ে নতুন জীবন ফিরে পাচ্ছে। বাংলাদেশের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ আইনে কোন বাধা না থাকলেও এখনো মরণোত্তর অঙ্গদান শুরুই করা যায়নি। দেশে এই চিকিৎসা চালু হলে অকালে মৃত্যুর হাত থেকে অনেক রোগীকে রক্ষা করা সম্ভব হতো।

সম্মেলনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও শিক্ষাবিদ রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, যারা নিজেদের কিডনি দান করেছেন এবং যারা গ্রহণ করেছেন তারা একেকটা ইতিহাস। মরণোত্তর অঙ্গদান অনেক কঠিন একটা কাজ হলেও অসম্ভব কিন্তু নয়। তাছাড়া এটা শুধু কিডনি ফাউন্ডেশনের একার কাজও নয়। এ জন্য আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে, মানুষের ইমোশনকে জাগিয়ে তুলতে হবে।

অধ্যাপক ডা. হারুন আর রশিদ বলেন, দিন দিন কিডনি বিকল রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। জীবিত কিডনি দাতার সংকট প্রকট বলে কিডনি বিকল রোগীরা কিডনি প্রতিস্থাপন করতে না পেরে অকালে মারা যাচ্ছে। এসব বিষয় চিন্তা করে গত বছর থেকে সোসাইটি অব অর্গান ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন, কিডনি ফাউন্ডেশন এবং বাংলাদেশ রেনাল অ্যাসোসিয়েশন মরণোত্তর কিডনি ও লিভার দানের উদ্যোগ গ্রহণসহ যাবতীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করে। কিন্তু সচেতনতা, ধর্মীয় অজ্ঞতা এবং অনাগ্রহের কারণে সেটি ফলপ্রসূ হয়ে ওঠেনি। এরপরও সাফল্যের আশায় সম্মিলিতভাবে মরণোত্তর অঙ্গ প্রতিস্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

অনুষ্ঠানে অর্গান ডোনার কার্ড চালু করা হয় এবং কিডনি সংযোজন করে বেঁচে আছেন এমন কয়েকজনকে সম্মাননা দেয়া হয়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত