নিজস্ব প্রতিবেদক

৩১ মার্চ, ২০২০ ১১:১২

বাংলা নববর্ষে জনসমাগম না করার নির্দেশনা প্রধানমন্ত্রীর

করোনাভাইরাসের কারণে বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠান পালনে জনসমাগম না করার নির্দেশনা দিয়েছেন। মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) সকালে জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে তিনি এ নির্দেশনা দেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সামনে (২৪ এপ্রিল) বাংলা নববর্ষ রয়েছে। এই নববর্ষ আমাদের প্রাণের উৎসব। অত্যন্ত উৎসাহ ও জাঁকজমকপূর্ণ উৎসবের মাধ্যমে আমরা এই অনুষ্ঠান পালন করে থাকি। কিন্তু এ বছর আপনারা জানেন, আমরা ১৭ মার্চ ও ২৬ মার্চের সব অনুষ্ঠান সীমিত করেছি। কোনো ধরনের জনসমাগম যেন না হয়, আমরা সে নির্দেশনা দিয়েছি। নববর্ষের জন্যও একই নির্দেশনা থাকবে।

তিনি বলেন, আমরা সব সময় অনেক বড় করে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করি। এবার আমি বলব নববর্ষের অনুষ্ঠান বড় করে না করতে। ডিজিটালভাবে আপনারা আয়োজন করতে পারেন। গান-বাজনার অনুষ্ঠান করতে পারেন। আমরা মুজিববর্ষের অনুষ্ঠান ডিজিটাল পদ্ধতিতে আয়োজন করেছি। এখন আমরা ক্লাসও ডিজিটাল পদ্ধতিতে নিচ্ছি। এটা বলতে আমার দুঃখ লাগছে, কারণ আমরা নববর্ষ সবসময় ব্যাপকভাবে উদযাপন করি।

প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে করনাভাইরাস প্রতিরোধে তার সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে বলেন, করোনা মোকাবিলায় দেশের মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করাটা জরুরি। আমাদের দেশটা ছোট কিন্তু মানুষ বিশাল। এরপরও আমরা মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে পেরেছি। সেজন্য বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে নিয়ন্ত্রণ পর্যায়ে রয়েছে।

‘বৈশ্বিক মহামারি নভেল করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে নিজের সুরক্ষা নিজেকেই দিতে হবে। স্বাস্থ্যবিধিসমূহ মেনে চলতে হবে। এতেই করোনা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে।’

সবাইকে ঘরে অবস্থানের পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, করোনা প্রতিরোধে মানুষের করণীয় বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। আপনারা এসব নির্দেশনা মেনে চলুন।

তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনার থাবা রয়ে গেছে। আমরা বিশ্ব থেকে দূরে নই। আমাদের আরও সচেতন থাকা দরকার। আমরা আমাদের দেশের মানুষের সুরক্ষার জন্য অনেক আগে থেকেই কাজ করে দিয়েছি। ভবিষ্যতে যাতে করোনা না ছড়ায় সেজন্য সেদিকেও দৃষ্টি রাখতে হবে।

করোনা উপসর্গ দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখানে কোনো লুকোচুরি করার সুযোগ নেই। লুকোচুরি করলে নিজের জীবনকেই ঝুঁকিতে ফেলে দেওয়া। জনগণকে সুরক্ষিত রাখতে হবে। জনকল্যাণে যেসব কাজ করতে হবে তা যথাযথভাবে মেনে চলতে হবে।

ভিডিও কনফারেন্স সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস। এতে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, তথ্য মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত