সিলেটটুডে ডেস্ক

২৫ ফেব্রুয়ারি , ২০২১ ২৩:১৪

খেতাব কেড়ে নিয়ে জিয়ার অবদান কেউ খাটো করতে পারবে না: ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেছেন, ‘খেতাব কেড়ে নিয়ে জিয়াউর রহমানের অবদানকে কেউ খাটো করতে পারবে না। জামুকার সিদ্ধান্ত কখনোই দেশের মানুষ মেনে নেবে না, এটা এদেশের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। জিয়াউর রহমানের অবদানকে কেউ খাটো করে দেখাতে চাইলেও তা পারবে না।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘খেতাব তো জিয়াউর রহমান অর্জন করেছেন। এটা কারো দয়ায় পাওয়া নয়। যুদ্ধ করেই তিনি এ খেতাব অর্জন করেছেন। সুতরাং এটা নিয়ে জিয়াউর রহমানের কোনো রকমের কোনো ক্ষতি তারা করতে পারবে না।’

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সিঙ্গাপুর থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি বিমানে হযরত শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরণ করে বিমানবন্দরের টার্মিনালে হুইল চেয়ারে বসেই তিনি সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন। এসময়ে তার সঙ্গে তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগমও ছিলেন। চিকিৎসা শেষে তিনি দেশে ফিরেছেন।

সিঙ্গাপুরে টিকা দিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সেখানে (সিঙ্গাপুর) বিদেশীদের টিকা দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। এখন দেশের কি অবস্থা কি তা দেখবো। রেজিস্ট্রেশন করে টিকা নেয়ার চেষ্টা করব।

শরীরের অবস্থা কেমন প্রশ্ন করা হলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ভালো না। আমি অসুস্থ। এখনো সুস্থ নই। সিঙ্গাপুরে ১৪দিন কোয়ারেন্টাইনে থেকে তারপরে ডাক্তারদের সঙ্গে দেখা করে সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ফিরছি।’

সদ্য প্রয়াত সাংবাদিক সৈয়দ আবুল মকসুদ ও বাংলাদেশ ব্যংকের সাবেক ডেপুটি গভর্ণর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘সৈয়দ আবুল মকসুদ আমার ব্যক্তিগত বন্ধু ছিলেন। আমি অত্যন্ত মর্মাহত হয়েছি তার মৃত্যু সংবাদে। খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ নিঃসন্দেহে ব্যাংকিং সেক্টরে একজন দিকপাল ছিলেন। দুই জনের মৃত্যুতে জাতি দুই জন অত্যন্ত যোগ্য মানুষকে হারালো।’

গত ৩০ জানুয়ারি স্ত্রীকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর যান বিএনপি মহাসচিব। সেখানে ফারার পার্ক হসপিটালে তার চিকিৎসা হয়। ২০১৫ সালে কারাবন্দি অবস্থায় ঘাড়ে ইন্টারন্যাল ক্যারোটিভ আর্টারিতে ব্লক ধরা পড়লে সিঙ্গাপুরে তার চিকিৎসা করেছিলেন ৭৩ বছর বয়েসী ফখরুল। এর চিকিৎসা বাংলাদেশ না থাকায় প্রতিবছরই ফলোআপ করতে তাকে সিঙ্গাপুর যেতে হয়। সর্বশেষ ২০১৯ সালের ৪ অক্টোবর তিনি সিঙ্গাপুর যান।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত