সিলেটটুডে ডেস্ক:

২২ নভেম্বর, ২০২২ ২৩:২৪

আসল ঘোষণা দেইনি, আসল ঘোষণা আসবে ১০ তারিখে: ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘দেশটা কারও বাপের রাজত্ব নাকি? ১০ ডিসেম্বর এখানেই (নয়াপল্টন) সমাবেশ হবে। এটা জনগণের ঘোষণা। আর এদিন থেকেই শুরু হবে সরকার পতনে এক দফার আন্দোলন।

মঙ্গলবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশের গুলিতে ছাত্রদল নেতা নয়ন নিহত হওয়ার প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি এই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে।

সরকারকে উদ্দেশ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘খুব পরিষ্কার করেই বলেছি যে আমরা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করব। আমাদের দাবিও পরিষ্কার- জ্বালানি ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ। এখনও তো আসল ঘোষণা দেইনি, আসল ঘোষণা আসবে ১০ তারিখে। সেদিন থেকে শুরু হবে এক দফার আন্দোলন। এক দফা এক দাবি, এখানে কোনো কম্প্রোমাইজ নেই।

‘আপনাদের যেতে হবে.... এবং শান্তিপূর্ণভাবে চলে যান।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘জ্বালানি তেলসহ দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ; আমাদের শাওন, নুরে আলম, আব্দুর রহিমের হত্যার প্রতিবাদ; খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং ৩৫ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে আমাদের এই সমাবেশ। এখানে কোনো ছাড় নেই।’

তিনি বলেন, ‘আমরা সাতটি সমাবেশ করেছি। প্রতিটি সমাবেশে ক্ষমতাসীনরা বাধা দিয়েছে। এরা কতটা ভীরু, কাপুরুষ! গাড়ি বন্ধ করে দেয়, লঞ্চ বন্ধ করে দেয়, লেগুনা বন্ধ করে দেয়। তাতে কি সমাবেশ বন্ধ করতে পেরেছে? তিন ঘণ্টার সমাবেশকে তারা তিন দিন বানিয়েছে।’

ফখরুল বলেন, ‘আমরা কোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞা চাই না। এটা দেশের জন্য লজ্জাকর। কিন্তু এই লজ্জার জন্য দায়ী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের সরকার। আমরা চাই না কোন বাহিনী আবার সেই নিষেধাজ্ঞায় পড়ুক।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সব সীমা ছাড়িয়ে গেছে। তারা দুর্নীতি, অহংকার দিয়ে এ দেশের মানুষকে জিম্মি করে ফেলেছে। তাদের কথা শুনলে মনে হয় তারা হচ্ছে মালিক আমরা হচ্ছি চাকর-বাকর। তারা হচ্ছে রাজা, আর দেশের মানুষ সব প্রজা।

‘আমরা পরিষ্কার করে বলতে চাই- কেউ জনগণের প্রতিপক্ষ হবেন না। জনগণকে কখনোই ছোট করে দেখবেন না। জনগণ এই দেশের মালিক। শেখ হাসিনা নন, আওয়ামীও লীগ নয়।’

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম। সঞ্চালনায় ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু এবং উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক।

সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য সচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খান, ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ ও সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল প্রমুখ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত