সিলেটটুডে ডেস্ক

০৪ জুন, ২০২৩ ২১:১০

নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে আইনমন্ত্রীর ‘ভুল বক্তব্যের’ ব্যাখ্যা দিল মন্ত্রণালয়

‘‘নির্বাচনকালীন সরকার গঠনে প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হবে, এ ব্যাপারে কোনো অষ্পষ্টতা নেই’’—আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক এমন এক বক্তব্য দেওয়ার পর এর ব্যাখ্যা দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় বলছে, ‘সাংবাদিকদের উপর্যুপরি প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে মন্ত্রী নির্বাচনকালীন সরকার গঠন প্রসঙ্গে শব্দ চয়নে ভুল করেছেন।’

রোববার দুপুরে রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে বিচারকদের এক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে নির্বাচনকালীন সরকার প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বক্তব্য দেন। এই বক্তব্য নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে।

রোববার (৪ জুন) আইন মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়েছে, সাংবাদিকদের উপর্যুপরি প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে মন্ত্রী নির্বাচনকালীন সরকার গঠন প্রসঙ্গে শব্দ চয়নে ভুল করেন। এর ফলে যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে, তা স্পষ্ট করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।

আইন মন্ত্রণালয় বলছে, প্রকৃত তথ্য হলো সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, সংবিধান অনুযায়ী ওয়েস্ট মিনস্টার স্টাইল পার্লামেন্টারি সিস্টেম অব গভর্নমেন্টে আমাদের রাষ্ট্র পরিচালনা করা হয়। সেই ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী যখন মনে করেন যে তিনি একটি ছোট সরকার গঠন করতে চান বা নির্বাচনকালীন সরকার করতে চান, তখন তিনি তা করবেন। এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হবে না। আমার মনে হয়, এই ব্যাপারে কোনো অস্পষ্টতা নেই। প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যে বলে দিয়েছেন, নির্বাচনকালীন সরকারে কারা কারা থাকতে পারেন, সে ব্যাপারে একটি রূপরেখা তিনি দিয়েই দিয়েছেন।

এতে আরও বলা হয়, সম্প্রতি জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের একজন র‌্যাপোর্টিয়ার বাংলাদেশ সফর শেষে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রসঙ্গে যে বক্তব্য দিয়েছেন– সে প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, ’এই বক্তব্য জাতিসংঘ দিয়েছে বলে আমি মনে করি না। তারা এই বক্তব্য দেওয়ার আগেই ২০১৯ সালের শেষের দিক থেকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের যখন মিসইউজ (অপব্যবহার) ও অ্যাবিউজ (অবমাননা) হচ্ছিল, তখনোই কিন্তু আমি বলেছি যে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে এই আইনের মিসইউজ ও অ্যাবিউজ বন্ধ করা প্রয়োজন। ঠিক সেই ধারাবাহিকতায় আমি পরিষ্কারভাবে বলেছি, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কিছু সংশোধন প্রয়োজন হবে এবং সে বিষয়ে আমরা আলাপ-আলোচনা করেছি। টেকনিক্যাল নোট পেয়েছি। এসব মতামত বিবেচনা করে আগামী সেপ্টেম্বর নাগাদ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সংশোধনী আনা হবে। এটা কারও প্রেসক্রিপশনের ওপর নির্ভরশীল না। আমরা যখন মনে করেছি যে মিসইউজ হয়েছে, আমরা স্বীকার করেছি এবং সেই মিসইউজকে সংশোধন করার জন্য ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

এরআগে রোববার দুপুরে বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে বিচারকদের এক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী ওয়েস্ট মিনস্টার স্টাইলে পার্লামেন্টারি সিস্টেম অব গভর্নমেন্টে আমাদের রাষ্ট্র পরিচালনা হয়। সেক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী যখন একটি ছোট সরকার গঠন করতে চান বা নির্বাচনকালীন সরকার করতে চান, তখন তিনি তা করবেন। নির্বাচনকালীন সরকার গঠনে প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হবে, এ ব্যাপারে কোনো অষ্পষ্টতা নেই। নির্বাচনকালীন সরকারে কারা কারা থাকতে পারেন, সে ব্যাপারে একটি রূপরেখা প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন।’

মন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিদ্ধান্ত নেবেন। নির্বাচনের সময় প্রয়োজন হলে প্রধানমন্ত্রী ছোট আকারের মন্ত্রিসভা গঠন করতে পারেন।’ নির্বাচনকালীন সরকারে সংসদের বাইরে কাউকে রাখার প্রয়োজন আছে বলে তিনি মনে করেন না।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত