সিলেটটুডে ডেস্ক

০৭ জানুয়ারি, ২০১৬ ১৭:৩২

‘ইসলামী শক্তি গড়তে’ ২০ দল ছেড়ে গেলো ইসলামী ঐক্যজোট

সরকারের কোনো চাপ কিংবা বিএনপির প্রতি কোনো রাগ-ক্ষোভে নয়, দলকে গোছানোর জন্য ২০ দলীয় জোট থেকে বেড়িয়ে গেছে ইসলামী ঐক্যজোট।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউশনে ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে ২০ দল ছাড়ার ঘোষণা দেন ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ নেজামী।

এসময় তিনি বলেন, ‘ইসলামী ঐক্যজোট মনে করে, সব ইসলামী দল, সংগঠন ওলামা একরাম, ও ইসলামমনস্ক লোকদের সমন্বয়ে একটি সংগঠিত, সমন্বিত ইসলামী শক্তি গড়ে তোলা অপরিহার্য।’

এখন থেকে ২০ দলীয় জোটের সঙ্গে ইসলামী ঐক্যজোটের কোনো সম্পর্ক নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ইসলামী ঐক্যজোট স্বকীয়তা বজায় রেখে নিজেদের সাংগঠনিক তৎপড়তায় মনযোগী হবে। কেননা স্বকীয়তা অন্তপ্রেরণায় ইসলামী ঐক্যজোট স্বতন্ত্র। তাই এখন থেকে ইসলামী ঐক্য স্বকীয়তা বজায় রেখে জোটের কর্মতৎপড়তা চালিয়ে যাবে।’

ঐক্যজোট থেকে বেরিয়ে আসার ঘোষণা দিয়ে মাওলানা মো. আবদুল লতিফ নেজামী বলেন, এখন থেকে ২০ দলের সাথে আমাদের আর কোনো সম্পর্ক নেই।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউশনে ত্রি-বার্ষিক জাতীয় কনভেনশনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ ঘোষণা দেন। ২০ দলীয় জোটের শরিক দলগুলো মধ্যে অন্যতম একটি ইসলামী ঐক্যজোট। ১৯৯৮ সালে চারদলীয় জোট প্রতিষ্ঠার সময় থেকে মুফতি ফজলুল হক আমিনীর নেতৃত্বাধীন ইসলামী ঐক্যজোট বিএনপির সঙ্গে জোট বেঁধে ছিল।

২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনে থাকা চারদলীয় জোট কলেবর বেড়ে ১৮ দলীয় জোট হয়। বিএনপি ছাড়া সে সময় জোটের বাকি শরিকরা ছিল জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী ঐক্যজোট, খেলাফত মজলিশ, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি), লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), কল্যাণ পার্টি, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা), ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি), ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি), লেবার পার্টি, ইসলামিক পার্টি, বাংলাদেশ ন্যাপ, ন্যাপ ভাসানী, মুসলিম লীগ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, পিপলস লীগ ও ডেমোক্রেটিক লীগ। পরে পর্যায়ক্রমে জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) ও সাম্যবাদী দলের একাংশ এই জোটে যোগ দিলে তা ২০ দলীয় জোটে পরিণত হয়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত