নিজস্ব প্রতিবেদক

২৮ জুলাই, ২০২৩ ১৫:২৩

সমাবেশ: নয়াপল্টনে বিএনপি, বায়তুল মোকাররমে আওয়ামী লীগের ৩ সংগঠন

সরকারপতনের এক দফা দাবিতে রাজধানীর নয়াপল্টনে শুরু হয়েছে বিএনপির মহাসমাবেশ। এদিকে, রাজধানীতে আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের উদ্যোগে শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

শুক্রবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ শুরু হয়। আর আওয়ামী লীগের তিন সংগঠনের সমাবেশ হচ্ছে রাজধানীর বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে।

তিন সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে এই শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

বিএনপির সমাবেশে দলটির স্থায়ী কমিটির সভাপতি মির্জা আব্বাসের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে শুক্রবার সকাল থেকেই নয়াপল্টন থেকে কাকরাইল, উত্তর দিকে শান্তিনগর, পুরানা পল্টন মোড় থেকে নাইটিঙ্গেল মোড়, ফকিরাপুল মোড় থেকে মতিঝিলের দিকেও মহাসমাবেশের জমায়েত ছড়িয়ে পড়ে।

ঢাকাসহ ঢাকার বাইরের জেলাগুলো থেকেও নেতা-কর্মীরা এসেছেন। নানা রঙের ব্যানার, ফেস্টুনসহ স্লোগানে-স্লোগানে যোগ দিচ্ছেন তারা। মোড়ে মোড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থায় রয়েছেন।

রাজধানীতে আওয়ামী লীগের তিন সংগঠনের শান্তি সমাবেশে যোগ দিতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেটে যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা জড়ো হয়েছেন। খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে আওয়ামী লীগ, বিভিন্ন অঙ্গ-সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীরা আসছেন সমাবেশস্থলে। তারা সমাবেশস্থল গুলিস্তান, জিরো পয়েন্ট ও আশপাশের এলাকায় অবস্থান করে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিচ্ছেন।

আওয়ামী লীগ ও বিএনপির পাল্টাপাল্টি সমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানীর পল্টন ও গুলিস্তানের আশপাশের এলাকায় কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

শুক্রবার মালিবাগ, কাকরাইল, মৎস্য ভবন, জাতীয় প্রেসক্লাব, পল্টন মোড়, গুলিস্তান, দৈনিক বাংলা মোড় এলাকায় পুলিশের সতর্ক অবস্থান দেখা গেছে। বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশের সাঁজোয়া যানও দেখা গেছে। এসব এলাকায় যান চলাচলও নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।

পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) হায়াতুল ইসলাম খান বলেন, সমাবেশ ও রাজনৈতিক কর্মসূচিগুলো বিশ্লেষণ করে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে প্রয়োজনীয় পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। ক্লোজড সার্কিট (সিসিটিভি) ক্যামেরার মাধ্যমে পুরো এলাকা মনিটরিং করা হয়েছে। ড্রোন দিয়েও সমাবেশ এলাকা মনিটরিং করা হয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত