সিলেটটুডে ডেস্ক

১৫ জানুয়ারি, ২০১৬ ১৬:১৮

ব্রাহ্মণবাড়িয়া তাণ্ডবে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের দুঃখপ্রকাশ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাদ্রাসাছাত্রের মৃত্যু ও সহিংসতার ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন করে দুঃখপ্রকাশ করেছে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ, তবে একই সঙ্গে তারা দাবি করেছে বলেছে এ ঘটনায় মাদ্রাসাছাত্ররা জড়িত নয়। একদল দুষ্কৃতকারী ওই হামলা চালিয়েছে। সেই সঙ্গে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাম্প্রদায়িক ঐতিহ্য রক্ষার আহ্বানও জানানো হয়েছে।

শহরের কান্দিপাড়া জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসায় শুক্রবার (১৫ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মুফতি মোবারক উল্লাহ।

তিনি বলেন, ‘মঙ্গলবারের ঘটনায় মাদ্রাসাছাত্ররা জড়িত নয়। একদল দুষ্কৃতকারী ওই হামলা চালিয়েছে। যদি কোনো মাদ্রাসাছাত্র ওই ঘটনায় জড়িত থাকে তাহলে তদন্তের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’ এ ছাড়া এ নারকীয় তাণ্ডবের বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানান তিনি।

প্রিন্সিপাল মুফতি মোবারক উল্লাহ রেলওয়ে স্টেশন ও ওস্তাদ আলাউদ্দিন সংগীতাঙ্গনসহ সাংস্কৃতিক সংগঠনে হামলার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন তালিমিয়া বোর্ডের চেয়ারম্যান আশেকে এলাহী ইব্রাহিমি, নাজিমাত তালিমাত মুফতি শামছুল হক, মুহাদ্দিস মুফতি আবদুর রহিম কাসেমী, কউমি ছাত্র ঐক্য পরিষদের উপদেষ্টা মাওলানা ইউসুফ ভূঁইয়া প্রমুখ।

উল্লেখ্য, সোমবার বিকেলে শহরের জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসার এক ছাত্রকে জেলা পরিষদ মার্কেটের এক দোকানদার থাপ্পড় দেন। এরপর ওই মাদ্রাসা থেকে অর্ধশত ছাত্র এসে দোকানে হামলা চালায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে মাদ্রাসা ছাত্রদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। এ সময় পুলিশের পাশাপাশি ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরাও মাদ্রাসা ছাত্রদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড রবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন আহত হন। এর মধ্যে গুরুতর আহত মাসুদ মঙ্গলবার সকালে মারা যান।

মাসুদের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে সকাল থেকে পুলিশের সঙ্গে মাদ্রাসাছাত্রদের তুমুল সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় মাদ্রাসাছাত্ররা শহরের বিভিন্ন যানবাহন, রেলওয়ে স্টেশন, দোকানপাট, আওয়ামী লীগের অফিস, জেলা মুক্তিযোদ্ধা অফিস, সুর সম্রাট ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ সংগীতাঙ্গন, শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরের ৫টি সাংস্কৃতিক সংগঠন, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও জেলা শহরের অবস্থিত সকল সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এ ঘটনায় ৮ মামলায় ৬ হাজারের বেশি অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত