৩১ অক্টোবর, ২০২৫ ০২:১৪
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও বেশ কয়েকটি নবীন রাজনৈতিক দলের দাবিতে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি প্রদান ও বাস্তবায়নের জন্য জাতীয় ঐকমত্য কমিশন নানা সুপারিশ করছে বলে মন্তব্য করেছেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদের কার্যালয়ে বাম জোটের সভায় এমন মন্তব্য করেন বাম জোটের নেতারা।
বাম জোটের সমন্বয়ক ও বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন সিপিবির সভাপতি সাজ্জাদ জহির চন্দন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ কাফি রতন, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির জাহিদ, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু প্রমুখ।
বাম জোট নেতারা জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সমালোচনায় বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানের আকাঙ্খা ও অর্জনকে ধুলিস্যাৎ করতে জুলাই সনদের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকেছে। এটা জুলাইয়ের শহিদ ও জাতির সঙ্গে প্রতারণা। একইসঙ্গে তা ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তির মধ্যে অনৈক্য ও বিভক্তি সৃষ্টির অপপ্রয়াস। এই সুপারিশ জাতীয় নির্বাচনকে ঝুঁকির মধ্যে ঠেলে দেওয়ার এক অশুভ ইঙ্গিত।’
সভার প্রস্তাবে বলা হয়, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কমিশন এখন জুলাই সনদ বা রাজনৈতিক সমঝোতার দলিল বাস্তবায়নের যে সুপারিশ করেছে তা সংবিধানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।’
জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) আদেশ-২০২৫ নামে একটি সাংবিধানিক আদেশ জারি করবে সরকার। অতঃপর আদেশের পক্ষে গণভোট করবে।
বাম জোট নেতারা বলেন, ‘ঐকমত্য কমিশনের বাস্তবায়ন সুপারিশের জন্য আদেশ দেওয়া বর্তমান সরকারের এখতিয়ার বহির্ভূত ও দুরভিসন্ধিমূলক। দেশে যে ৩টি গণভোট হয়েছে তাতে গণভোট সম্পর্কে জনমনে বিরূপ ধারণা সৃষ্টি হয়েছে। তাছাড়া সনদ বাস্তবায়নে গণভোট অপ্রয়োজনীয়।’
বাম জোটের সভার প্রস্তাবে বলা হয়, ‘সংবিধান সংস্কার পরিষদ বলি, গণভোট বলি বা যে কোন আইন তো জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা জাতীয় সংসদেই করবে।’
আপনার মন্তব্য