৩০ অক্টোবর, ২০২৫ ২৩:১২
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি’ গান গেয়ে বিপাকে পড়েছেন ভারতের কংগ্রেস সেবা দলের এক প্রবীণ কর্মী বিদ্যুৎ ভূষণ দাস (৭৪)। গানটির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়েছে আসামে।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস- এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ভিডিওটি ইতিমধ্যে আসামের কয়েকজন মন্ত্রী এবং বিজেপির রাজ্য শাখা শেয়ার করেছে।
তাদের অভিযোগ, বিদ্যুৎ ভূষণ দাস বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেছেন।
তবে বিদ্যুৎ ভূষণ জানান, তিনি ছোটবেলা থেকেই গানটি ভালোবাসেন এবং মনের টানে গেয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হওয়ায় তিনি বিস্মিত ও উদ্বিগ্ন।
জানা গেছে, কংগ্রেসের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কংগ্রেস সেবা দল–এর এক বর্ধিত সভায় গানটি গেয়েছিলেন তিনি। অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয় আসামের শ্রীভূমি জেলায়।
এ ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা জানান, তিনি শ্রীভূমি জেলা কংগ্রেস কমিটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘কংগ্রেস ভারতের জাতীয় সংগীতের পরিবর্তে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেছে। এটি ভারতের প্রতি অসম্মান। অনেক বাংলাদেশি ভারতের উত্তর-পূর্ব অংশকে নিজেদের দাবি করে- এই ঘটনা সেই দাবির প্রতিও এক ধরনের সমর্থন।’
তবে বিদ্যুৎ ভূষণ নিজের অবস্থান পরিষ্কার করে বলেন, “আমি একজন সাধারণ কংগ্রেস কর্মী, পঞ্চাশ বছরেরও বেশি সময় ধরে সেবা দলে কাজ করছি। সভাটি ‘বন্দে মাতরম’ দিয়ে শুরু হয় এবং ভারতের জাতীয় সংগীত দিয়ে শেষ হয়। বক্তৃতার সময় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম উল্লেখ করতে গিয়ে হঠাৎ মনে আসে তাঁর লেখা ‘আমার সোনার বাংলা’- তখন আমি কেবল লাইনটি উচ্চারণ করি, পূর্ণ গান গাইনি।”
তিনি আরও বলেন, ‘আমি বিশ্বকবিকে ও বাংলাকে শ্রদ্ধা জানিয়েছি, অন্য কোনো উদ্দেশ্য ছিল না।’
দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানায়, বর্তমান শ্রীভূমি (আগের নাম করিমগঞ্জ) একসময় বাংলাদেশের সিলেট জেলার অংশ ছিল। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময় সিলেটের মূল অংশ পূর্ব পাকিস্তানে (বর্তমান বাংলাদেশ) অন্তর্ভুক্ত হলেও শ্রীভূমি অঞ্চলটি ভারতের অংশ হয়।
আপনার মন্তব্য