২০ অক্টোবর, ২০২৫ ২১:৫১
বছরের পর বছর ধরে সিলেট নগরীর ফুটপাত দখলমুক্ত করতে নানা উদ্যোগের পর এবার সিটি করপোরেশন, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগ মাঠে নেমেছে। রোববার থেকে ফুটপাতে দোকানপাট বসানো নিষিদ্ধ ঘোষনা করে মাঠে নামেন সংশ্লিষ্টরা। ঘোষনার পর প্রথম রোববার ও সোমবার কোনো হকার ফুটপাতে বসেন নি। যারা বসেছেন তারা অভিযান দেখে সরে যান।
সরেজমিন বিভিন্ন সড়কের ফুটপাতে দেখা গেছে কোনো হকার বসেন নি। স্বাচ্ছন্দে ফুটপাত দিয়ে হাটতে পারছেন শিক্ষার্থীসহ পথচারিরা। সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, সোমবার নগরের বিভিন্ন সড়কে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। সড়ক ও ফুটপাত যাতে হকারমুক্ত থাকে এভাবে দিনভর তৎপর ছিলো পুলিশ। সন্ধ্যায় পুলিশ কমিশনার ও জেলা প্রশাসক আম্বরখানা এলাকায় অভিযান চালান।
নগরীর সাতটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট এলাকায় প্রথমদিন অভিযান পরিচালনা করা হয়। সাতজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর নেতৃত্বে এসব অভিযানে প্রায় ২০০ পুলিশ সদস্য অংশ নেয়। সিটি করপোরেশেনের লোকজনও ছিলেন।
নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কের ফুটপাতে আগে প্রতিদিন বেলা ২টার পর থেকে হকাররা পসরা সাজিয়ে বসতেন। এই দুদিন ধরে ব্যতিক্রম। গুরৃত্বপূর্ণ সড়কে হকারদের দেখা যায়নি। নগরীর প্রধান বাণিজ্যিক এলাকা জিন্দাবাজার, লামাবাজার, চৌহাট্টা, আম্বরখানা, বন্দরবাজার, পুলের মুখ, তালতলা, শেখঘাট পয়েন্ট এলাকায় দেখা গেছে হকারমুক্ত ফুটপাতের দৃশ্য।
শুক্রবার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, রোববার থেকে নগরীর কোনো সড়ক বা ফুটপাতে হকার বসতে দেওয়া হবে না। এ নির্দেশ অমান্য করলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর আগে পুলিশ, নগর ভবন ও জেলা প্রশাসন বিষয়টি নিয়ে বৈঠক করেন। এছাড়া সম্প্রতি সিলেটের বিভিন্ন দাবি ও সমস্যা নিয়ে আন্দোলন শুরু হলে ফুটপাতের বিষয়টি গুরুত্ব পায়।
বিকেল ৫টার দিকে সরকারি অগ্রগামি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ ছুটির পর দেখা গেছে শিক্ষার্থীদের অনেকে হকারমুক্ত ফুটপাত দিয়ে হেটে যাচ্ছেন স্বাচ্ছন্দ্যে।
এদিকে হকারদের পুনর্বাসনে লালদিঘীরপারস্থ হকার মার্কেটের প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন। এ তথ্য নিশ্চিত করেন সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা।
আপনার মন্তব্য