সিলেটটুডে ডেস্ক

১৩ ফেব্রুয়ারি , ২০১৬ ০৪:১৪

‘একজন বিচারপতি প্রমাণ করেছেন নিমগাছে আম ধরে না’

যুদ্ধাপরাধী মীর কাসেম আলীর মামলার শুনানিতে হাইকোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি সরকারি সুযোগ-সুবিধা ভোগরত অবস্থায় অংশ নেওয়ায় সমালোচনা করতে গিয়ে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, একজন বিচারপতি নিজেই প্রমাণ করেছেন নিমগাছে আম ধরে না। তিনি অবসরের পর আপিল বিভাগে গিয়ে যুদ্ধাপরাধীর মামলা শুরু করে দিয়েছেন।

শুক্রবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মান্দারপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

গত ১০ ফেব্রুয়ারি প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল আদালতে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত মীর কাসেম আলীর আপিলের শুনানির জন্য দাঁড়ান সম্প্রতি হাইকোর্ট থেকে অবসরে যাওয়া বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরী। গত ১০ ডিসেম্বর তিনি অবসর গ্রহণ করেন। বর্তমানে তিনি বিচারপতিদের বাসভবনে থাকেন। গাড়ি, গানম্যানসহ সরকারি সব ধরনের সুবিধা ভোগ করেন। পরে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম আদালতের দৃষ্টিতে এ বিষয়টি আনেন। তিনি বিষয়টি নীতি-নৈতিকতাবিরোধী বলে উল্লেখ করেন।

তবে ওই দিন সাবেক বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, আমি আইন মেনে আইন পেশায় কাজ করছি। সংবিধান আমাকে ক্ষমতা দিয়েছে।

ওই ঘটনায় কারো নাম উল্লেখ না করে আইনমন্ত্রী বলেন, তিনি আবার মিটিংও করেন, মিটিংয়ে ছবক দেন। বিচারপতি হতে গেলে নাকি নিয়ম-নীতি লাগবে।

তিনি আরো বলেন, নিমগাছে আম ধরে না। কিন্তু তিনি এখনো বিচারপতির বাড়িতে থাকছেন, গানম্যান ভোগ করছেন, গাড়ি চড়ছেন। এখন রাজাকারের মামলা করে উনি নিজেই প্রমাণ করে দিয়েছেন যে নিমগাছে আম ধরে না।

মান্দারপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন কসবা উপজেলার চেয়ারম্যান আনিসুল হক ভূঁইয়া, কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও আইনমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) রাশেদুল কায়সার জীবন, ভাইস চেয়ারম্যান শাহীন সুলতানা, নারী ভাইস চেয়ারম্যান বিলকিস বেগম, মান্দারপুর উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নাজিম উদ্দিন সরকার প্রমুখ। 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত