সিলেটটুডে ডেস্ক

০৫ মার্চ, ২০১৬ ১৪:১১

‘বিএনপির রাজনীতিকে স্তব্ধ করতেই ১/১১ সৃষ্টি হয়েছিল’

বিএনপির রাজনীতিকে স্তব্ধ করতেই ১/১১ সৃষ্টি হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এরই অংশ হিসেবে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে গ্রেপ্তার এবং জিয়া পরিবারকে নির্যাতন করা হয়। মূল লক্ষ্য ছিল বিরাজনীতি করা- যোগ করেন তিনি।

তারেক রহমানের ১০ম কারাবরণ দিবস উপলক্ষে আজ শনিবার ১২টার দিকে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল।

তিনি বলেন, যারা ১/১১ এর পক্ষে কথা বলেছেন এখন তারাই এর বিরুদ্ধে কথা বলছেন। কিন্তু তিনি (শেখ হাসিনা) ১/১১ সরকারকেই বৈধতা দিয়েছেন। তিনি বলেছিলেন, ১/১১ সরকার তাদের আন্দোলনের ফসল। শুধু তাই নয়, এ সরকার যা কিছু করবে তার সব কিছুকে বৈধতা দেবে। আজকে যখন তাদের আঁতে ঘা লেগেছে ও আক্রান্ত হচ্ছে। তখন এর বিরুদ্ধে কথা বলছে। যারা এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে তাদের বিচারের আওতায় আনা হচ্ছে না।

এ সংসদে ১/১১ কুশীলবদের বিচারের দাবি করা হচ্ছে। বিএনপি নেতা ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ১/১১ সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন। কিন্তু সে মামলাটি চাপিয়ে রাখা হয়েছে। তাদের উদ্দেশ্য অত্যন্ত পরিষ্কার একটি মাত্র দলকে, মতবাদ ও আদর্শকে স্তব্ধ করতে হবে, তাকে ধ্বংস করতে হবে। রাষ্ট্রীয় কাঠামো থেকে তাকে বাদ দিতে হবে। সে কারণেই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ওপর আক্রমণ ও আগ্রাসন করা হয়েছে যোগ করেন ফখরুল।

তিনি বলেন, বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশ ও জাতীয়তাবাদের প্রতীক। তাকে নিয়ে সরকারের যত ভয়। তারেক রহমানকে যদি স্তব্ধ করে দেওয়া যায় তাহলে তাদের উদ্দেশ্য সফল। তারেক রহমানের বক্তব্য বাংলাদেশে প্রচার-প্রকাশ করতে দেওয়া হয় না। কেন তাদের (সরকারের) এত ভয়? কেন বিরোধী মতের লোকদের কথা বলতে দেওয়া হয় না?

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, রাজনৈতিক হীন উদ্দেশ্যেই বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নামে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দেওয়া হয়েছে। ওয়ান ইলেভেনের আগ থেকেই খালেদা জিয়া ও তারেক রহামনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। তারেক রহমানের নামে দুর্নীতির কল্পকাহিনী তৈরি করে প্রচার করা হচ্ছে। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে একটি দুর্নীতির মামলাও প্রমাণ করতে পারে নাই। বরং যে মামলাটির রায় হয়েছে সেটিতে তিনি খালাস পেয়েছেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত