নিউজ ডেস্ক

২১ মার্চ, ২০১৬ ১৯:৩০

আওয়ামীলীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে অর্থমন্ত্রীর সমালোচনা

আওয়ামীলীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের কঠোর সমালোচনা করা হয়েছে।

রোববার রোববার সন্ধ্যায়  প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে গণভবনে  বৈঠকে দলীয় নেতারা অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের কঠোর সমালোচনা করেন। দৈনিক প্রথমআলোকে দেয়া অর্থমন্ত্রীর সাক্ষাৎকারে অসন্তুষ্ট প্রধানমন্ত্রীও।

রিজার্ভ থেকে অর্থ চুরির পর মন্ত্রী মুহিত গত শুক্রবার বাংলা দৈনিক প্রথম আলোতে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিদায়ী গভর্নরের সমালোচনা করেন।

সাক্ষাৎকারে অর্থমন্ত্রী বলেন,“সংবাদ সম্মেলনই করেছেন। বাড়িতে করেছেন এবং দুই দফা। একবার পদত্যাগের আগে,আরেকবার পদত্যাগের পর। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর কাছে তিনি ইনিয়ে-বিনিয়ে অনেক কথা বলেছেন। দুজন ডেপুটি গভর্নরের চাকরি গেছে তার কারণে। বোঝাতে চাইলেন যে তিনি একা দায়ী নন। দুজনের বাইরে আরও কয়েকজনের চাকরি খাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। তা আর হয়নি,হবেও না।”

সাবেক গভর্নরের অবদান ‘প্রায় শূন্য’ মন্তব্য করে মুহিত সাক্ষাৎকারে আরও বলেন,“তিনি (আতিউর রহমান) খালি পৃথিবী ঘুরে বেড়িয়েছেন আর লোকজনকে অনুরোধ করেছেন বক্তৃতা দেওয়ার জন্য তাকে সুযোগ দিতে ও দাওয়াত দিতে। এখন বেরোচ্ছে এগুলো।”

সাক্ষাৎকার প্রকাশের পর মন্ত্রী এক বিবৃতিতে বলেন, তার চূড়ান্ত অনুমোদন ছাড়াই প্রথম আলো কথাগুলো প্রকাশ করেছে এবং এসব বক্তব্য তার কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।

তবে তাঁর এসব বক্তব্যে দলীর শীর্ষ নেতারা ক্ষুব্ধ বলে জানা গেছে।  আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মুহিতের এই বৈঠকে উপস্থিত থাকার কোনো সুযোগ ছিল না।


প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার সদস্যরাসহ সরকারি দলের নানা স্তরের নেতারা প্রায়ই পত্রিকাটির বিরুদ্ধে সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করে থাকেন।

রোববার দলের বৈঠকে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা উঠলে প্রধানমন্ত্রীও অশীতিপর মন্ত্রীর বক্তব্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন বলে বৈঠকে উপস্থিত কয়েকজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন।

এক নেতা বলেছেন “মিটিংয়ে অর্থমন্ত্রীর বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পুরো হাউজই অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য নিয়ে এক সুরে কথা বলেছেন।”

অর্থমন্ত্রীর সাক্ষাৎকারের বিষয়ে উষ্মা প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন,গভর্নরের পদত্যাগের পরও তাকে নিয়ে মন্ত্রীর এইরকম প্রকাশ্য বক্তব্য তার বোধগম্য নয়।

আতিউর রহমানের সঙ্গে অর্থমন্ত্রীর ‘ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের’ বিষয়টি এভাবে পত্রিকায় না নিয়ে এলেই অর্থমন্ত্রী ভালো করতেন বলেও প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেন। জানিয়েছেন বৈঠকে উপস্থিত এক নেতা।

বৈঠকে সভাপতিমণ্ডলীর আরেক সদস্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম মন্ত্রীদের ‘লাগামছাড়া’ বক্তব্যের বিষয়ে কথা বলেন।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম এবং মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বক্তব্যের সমালোচনা করে নাসিম বলেন,“মন্ত্রীরা এভাবে কথা বললে সরকারের ভাবমূর্তি সংকটে পড়ে।”

সূত্র: বিডিনিউজ


আপনার মন্তব্য

আলোচিত