সিলেটটুডে ডেস্ক

১১ জুন, ২০১৬ ১৯:২৯

‘দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে না দেখে গুপ্তহত্যার প্রতিরোধ গড়ুন’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা  গুপ্তহত্যা বন্ধে দেশবাসীকে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন।

শনিবার (১১ জুন) আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে প্রারম্ভিক বক্তব্যে আওয়ামীলীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন , “কেউ যখন আঘাত করবে, দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দয়া করে দেখবেন না। বরং সবাই একজোট হয়ে সেটাকে প্রতিহত করার চেষ্টা করবেন।

“আমরা সাথে থাকব। আমাদের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সাথে থাকবে।”

গত এক বছরে ব্লগার, লেখক, প্রকাশক, অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টদের হত্যার পাশাপাশি বিদেশি, হিন্দু পুরোহিত, খ্রিস্টান যাজক, বৌদ্ধ ভিক্ষু আক্রান্ত হওয়ার পর সম্প্রতি চট্টগ্রামে একই কায়দায় এক পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী খুন হন।

এ ব্যাপারে শেখ হাসিনা বলেন , “এদের খুঁজে খুঁজে আমরা বের করব। বাংলাদেশে যাবে কোথায়?

“কেউ পার পাবে না। বাংলাদেশ ভূখণ্ডের দিক দিয়ে ছোট। এখানে সবাই সবাইকে চিনতে পারে বা জানতে পারে। এগুলো খুঁজে বের করা খুব কঠিন কাজ না। এর শাস্তি তারা পাবেই।”


তিনি বলেন, “সরকার যদি প্রকাশ্যে হত্যা বন্ধ করতে পারে, তাহলে এই গুপ্তহত্যাও আমরা বন্ধ করতে পারবে, ইনশাল্লাহ, সময়ের ব্যাপার।”

প্রায় প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের পর পরই আইএস, আল-কায়েদার দায় স্বীকার করে বার্তা আসলেও সরকার সেগুলোকে ভিত্তিহীন হিসেবে উড়িয়ে দিয়েছে।

এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন “এদের সূত্রটা কী? কোথা থেকে টাকা আসছে? কাদের মদদে এটা করতে চাচ্ছে? সে সূত্রগুলোও আমরা বের করব।”

কিছু তথ্য এর মধ্যেই সরকারের কাছে এসেছে জানিয়ে তিনি বলেন, “তার কিছু কিছু সূত্র আছে। আমরা পাচ্ছি। সব এক সময় বের হবেই।”

দেশি-বিদেশি যারাই এর পেছনে থাক, বাংলাদেশের মানুষ তা মেনে নেবে না বলে মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা।

“যারা উন্নয়নে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে, তাদের কোনো ক্ষমা নেই। এই বাংলাদেশ জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চলবে না।”

খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে শেখ হাসিনা বলেন, “শুধু সাজুগুজু করার জন্য আয়নায় শুধু চেহারা দেখেন না। কী কী করেছেন, তা স্মরণ করার জন্য চেহারাটা একটু আয়নায় দেখেন। আয়নায় খুনের চেহারাটাই ভেসে উঠবে। মনের আয়নাটা দেখেন। কীভাবে খুনিদের মদদ দিয়েছেন।”

গুপ্তহত্যার পেছনে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ঠেকানোর ষড়যন্ত্র কাজ করছে বলেও  মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন “যাদের মন্ত্রী বানিয়েছিল, তাদের যুদ্ধাপরাধী হিসাবে তারা ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলছে। খালেদা জিয়া এই ব্যথা কী ভাবে ভুলবে বলেন? খালেদা জিয়া এই প্রতিশোধ নেবে না? সে প্রতিশোধ সে নিচ্ছে, এটা তো বাস্তব কথা।”

গণভবনে বৈঠকের শুরুতেই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে শেখ হাসিনার হাতে ফুলের তোড়া তুলে দেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত