সিলেটটুডে ডেস্ক

২৮ জুলাই, ২০১৬ ০০:৫২

জামায়াতকে ছাড়ুন, খালেদার উদ্দেশে সিপিবি সভাপতি

‘‘২৪ ঘণ্টার মধ্যে জামায়াতকে ছাড়ার ঘোষণা দিন। আপনার দলের নেতা-কর্মীদের জঙ্গিবাদ নির্মূলে পথে নামতে বলুন। তা না হলে আপনার কথা কেউ বিশ্বাস করবে না।’’

বুধবার (২৭ জুলাই) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) ৫৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় খালেদা জিয়ার উদ্দেশে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম এ আহবান জানান।

ন্যাপের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ন্যাপের কেন্দ্রীয় সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মিসেস আমিনা আহমদ। শারীরিক অসুস্থতার কারণে অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত ন্যাপ সভাপতি অধ্যাপক মোজাফফর আহমদের লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনানো হয়।

সিপিবি সভাপতি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থেকে দূরে সরে যাওয়ায় বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের সূচনা হয়েছে। এখন তরুণদের স্বাধীনতাযুদ্ধের চেতনার রাজনীতিতে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। দেশে সরকারি দল ও বিরোধী দল উভয়কেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী হতে হবে।

মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, দেশে বর্তমানে যে সংকটাবস্থা পার করছে, সেখানে ন্যাপের বলিষ্ঠ নেতৃত্ব আবার দেশের মানুষকে উজ্জীবিত করবে। কমিউনিস্ট পার্টি ও ন্যাপ জন্মলগ্ন থেকেই একসঙ্গে কাজ করেছে। ভবিষ্যতেও দেশের প্রয়োজনে একসঙ্গে কাজ করবে।

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু নির্ভেজাল ধর্মভিত্তিক পাকিস্তানে ধর্মনিরপেক্ষ দেশ প্রতিষ্ঠার কথা বলতে পারলে আমার কেন স্বাধীন বাংলাদেশে ধর্মনিরপেক্ষ দেশের কথা বলতে পারি না। বাহাত্তরের সংবিধানে গৃহীত চারটি মূলনীতির আলোকে রাষ্ট্র পরিচালনা করতে পারলে জঙ্গিবাদের সমস্যা থাকত না।’

প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবে, এ কথা একসময় কেউ কেউ বিশ্বাস করতে পারতেন না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে তা সম্ভব হয়েছে। দেশে জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের দমনেও শেখ হাসিনা সফল।

সভায় বক্তারা বলেন, দেশের বর্তমানে জঙ্গিবাদের যে বিপজ্জনক অবস্থা বিরাজ করছে, তা দূর করতে দলমত-নির্বিশেষে সব মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। তারা আরও বলেন, অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ বুঝতে পেরেছিলেন বাংলাদেশ মুসলিমপ্রধান দেশ। এ দেশে ধর্মকে বাদ দিয়ে রাজনীতি করা সম্ভব নয়। তাই তিনি একাত্তরের পরেই ধর্ম-কর্ম-গণতন্ত্রের নিশ্চয়তাসহ সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ডাক দিয়েছিলেন। জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ শেষ করা না গেলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মুক্তি সম্ভব নয়। স্বাধীনতাযুদ্ধের পর ’৭২-এর সংবিধানের চারটি মূলমন্ত্রে ফিরে যেতে হবে।

সভায় আরও বক্তব্য দেন সাবেক মন্ত্রী ও সাম্যবাদী দলের সভাপতি দিলীপ বড়ুয়া, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিমল বিশ্বাস, ন্যাপের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য লুৎফর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক, কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুল বারী জোয়ার্দার, জাসদের কেন্দ্রীয় নেতা শরীফ নুরুল আম্বিয়া, রেজাউল হোসেন খান, মজদুর পার্টির জাকির হোসেন, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের ওয়াজেদুল ইসলাম, গণ-আজাদী লীগের এসকে শিকদার প্রমুখ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত