সিলেটটুডে ডেস্ক

২৮ অক্টোবর, ২০১৬ ২০:০২

সিপিবির কংগ্রেসে বিকল্প ঐক্যের ডাক

শ্রেণী বৈষম্য নিরসনে রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণে বাম-গণতান্ত্রিক বিকল্প ঐক্য গড়ার ডাক দিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)।

শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শুরু হওয়া দলটির একাদশতম কংগ্রেসে নেতারা দুই বুর্জোয়া দলের বিকল্প হিসেবে সমমনা দল নিয়ে ঐক্য গড়ারও ইঙ্গিত দিয়েছেন।

দলটির এ কংগ্রেসে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দুপুরের পর থেকে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে লাল পতাকাশোভিত মিছিল নিয়ে কংগ্রেসস্থলে আসতে থাকেন নেতা-কর্মীরা। তাদের অনেকের গায়ে ছিল লাল টি-শার্ট; মাথায় লাল রঙের ক্যাপ। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সম্মেলন মঞ্চও তৈরি করা হয়েছে লাল কাপড়ে ঘিরে।

প্রাথমিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পর জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় দলটির চারদিনব্যাপী একাদশতম কংগ্রেস। কংগ্রেসের উদ্বোধনীতে সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম জাতীয় পতাকা এবং সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবু জাফর আহমদ পার্টির পতাকা উত্তোলন করেন।

পরে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যরা বিদেশি প্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে সম্মেলন মঞ্চের পাশে নির্মিত অস্থায়ী শহীদ বেদীতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন।

ভারত, নেপাল, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, ভিয়েতনাম, চীন, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, উত্তর কোরিয়া, রাশিয়াসহ ১২টি দেশের কমিউনিস্ট পার্টি থেকে ২৬ জন প্রতিনিধি এবারের কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছেন।

রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণে ভবিষ্যতে সমমনা দল নিয়ে বিকল্প শক্তি গড়ার ইঙ্গিত দেন দলটির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবু জাফর আহমেদ।

সাধারণ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সরকার গঠনের জন্য নেতা-কর্মীদের আরো বেশি ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করার নির্দেশ দেন সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম।

কংগ্রেস শুরুর কিছু সময়ের মধ্যে শুরু হয় মুষলধারে বৃষ্টি। আর তাতেই খানিকটা ভাটা পড়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কংগ্রেসে যোগ দিতে আসা মানুষের উপস্থিতিতে।

এ সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পুরো এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পুলিশি তল্লাশি ছাড়াও আর্চওয়ে পার হয়ে নেতাকর্মীদের সম্মেলনস্থলে আসতে হয়েছে।

উল্লেখ্য, সিপিবির দশম কংগ্রেস হয়েছিল ২০১২ সালের ১১-১৩ অক্টোবর। চার বছর পর এবারের কংগ্রেস হচ্ছে।

সারাদেশে থেকে ৬৮৩ জন প্রতিনিধি এবারের কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছেন। তাদের মধ্যে ২১৭ জন নারী এবং ১৭ জন ‘আদিবাসী’। পর্যবেক্ষক থাকবেন ১০৮ জন।

উদ্বোধনের পরদিন ২৯ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯টায় গুলিস্তানের কাজী বশীর মিলনায়তনে (মহানগর নাট্যমঞ্চ) রুদ্ধদ্বার সাংগঠনিক অধিবেশন শুরু হবে। তা চলবে ৩১ অক্টোবর বিকাল পর্যন্ত। সেখানে আগামী চার বছরের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটি গঠনসহ দলটির সাংগঠনিক ও রাজনৈতিক বিষয়ে আলোচনা হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত