সিলেটটুডে ডেস্ক

২৩ জুলাই, ২০১৭ ২৩:০১

মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে ‘ছাত্রীসংস্থার’ রিজিয়া

যুদ্ধাপরাধী দল জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য, একাধিকবার জামায়াতের মনোনয়নে সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করা মুমিনুল হক চৌধুরীর মেয়ে রিজিয়া নদভী বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান পেয়েছেন। রিজিয়া ইসলামী ছাত্রী সংস্থা চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সাবেক সভাপতি ছিলেন।

এরআগে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ পেলেও সমালোচনার কারণে তাকে বাদ দিতে হয়েছিল।

রিজিয়া নদভীর স্বামী জামায়াতের সাবেক নেতা এবং সাতকানিয়া-লোহাগড়া আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দীন নদভী। নদভী ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে সংসদ সদস্য হন।

শনিবার (২২ জুলাই) আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সহযোগী সংগঠনটির পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় কমিটি অনুমোদন করেন, যাতে কার্যনির্বাহী সদস্য হিসেবে ৬৮ নম্বর ক্রমিকে রয়েছে রিজিয়ার নাম। রিজিয়া নদভীর নাম মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে আসার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

তবে সমালোচনার পরেও মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগম ক্রিক জানাচ্ছেন, বাবা জামায়াতে ইসলামীর নেতা হলেও মহিলা আওয়ামী লীগে রিজিয়া নদভীর পদ পাওয়ার ক্ষেত্রে তার স্বামীর পরিচয়ই গুরুত্ব পেয়েছে।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা যায়, রিজিয়া ২০০২ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত জামায়াতে ইসলামীর ছাত্রী সংগঠন ইসলামী ছাত্রী সংস্থার চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। যদিও রিজিয়া সে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি। বলছেন, “নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় বিয়ে হয়। এরপর রাজনীতি করার সময়-সুযোগ ছিল না। বাবার দিকে না গিয়ে আমি আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেছি।”

এরআগে, চট্টগ্রাম জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের পদ পাওয়ার পর এবছরের ফেব্রুয়ারিতে বলেছিলেন, ‘আদর্শ কোনো ব্যাপার না। রাজনীতির মূল কথা হচ্ছে- জনকল্যাণ, মানুষের সেবা করা। আমি তিন বছর ধরে সাতকানিয়া-লোহাগাড়া এলাকার মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা আমাকে মূল্যায়ন করেছেন। আমি তাদের প্রতি অনেক কৃতজ্ঞ। যারা আমার সমালোচনা করছেন তারা প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে এসব করছেন।’

ওই সময় রিজিয়া আরও বলেছিলেন, “আব্বা যেহেতু জামায়াত নেতা, তাই এখন আমাকে কালার করার চেষ্টা হচ্ছে। আওয়ামী লীগ দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতায়। সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ থাকলে কি আমাকে পদ দিত?”

জেলা কমিটিতে পদ পেয়েও দায়িত্ব পালন করতে না পারা রিজিয়া এবার ১৫১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান পেলেন। রোববার সন্ধ্যায় ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংগঠনের সভাপতি সাফিয়া খাতুন ও সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগম ক্রিক পূর্ণাঙ্গ কমিটির নাম প্রকাশ করেন। সম্মেলনের প্রায় সাড়ে চার মাস পর এই কমিটি হল।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত